ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ [email protected] +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩

সংস্কারের অভাবে পড়ে আছে ডাকবাংলোটি, যাদুঘর তৈরির দাবি মুক্তিযোদ্ধাদের

মো: মনিরুল ইসলাম | প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২৩:০৪

মো: মনিরুল ইসলাম
প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২৩:০৪

ছবি : সংগৃহীত

দাউদকান্দি (কুমিল্লা) থেকে : স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেছে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার পৌর সদরে যারিফ আলী শিশু পার্কে অবস্থিত ব্রিটিশ আমলে নির্মিত মুক্তিযুদ্ধে স্মৃতি বিজড়িত ডাকবাংলোটি সংস্কারের অভাবে পড়ে আছে চরম অযত্ন আর অবহেলায়।

মুক্তিযুদ্ধের সময় এখানেই ঘাঁটি গেড়েছিল পাক হানাদার বাহিনী। মুক্তিযোদ্বাদের চর্থুমুখী আক্রমণে ঘাঁটি ছেড়ে পাশ্ববর্তী গোমতী নদী পার হয়ে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা দিয়ে পাক হানাদাররা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।

১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর যুদ্ধকালীন সময়ে পাক হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করে লাল সবুজের পতাকা উড়িয়ে ছিল দাউদকান্দিতে মুক্তিযোদ্ধে অংশ গ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধারা। কিন্তু ইতিহাস সমৃদ্ব ঐতিহাসিক ডাকবাংলা সম্পর্কে জানেই না বর্তমান প্রজম্ম।

মুক্তিযোদ্ধাদের দাবি, স্মৃতি বিজড়িত ভবনটিকে দ্রুত সংস্কার করে গড়ে তোলা হোক মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।

ডাকবাংলোটি সংস্কারের এখন পর্যন্ত নেওয়া হয়নি কোনো কার্যকর ব‍্যবস্থা। যারিফ আলী শিশু পার্কের ঠিক মাঝে ডাকবাংলোটি অবস্থিত। প্রতিদিন শত-শত মানুষ পার্কটিতে আসে ঘুরতে। ডাকবাংলোটি সংস্কার করে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর হিসেবে গড়ে তুললে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জেনে সমৃদ্ধ হতো নতুন প্রজন্ম।

দাউদকান্দি উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার খোরশেদ আলম বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যেক জায়গায় যুদ্ধকালীন স্মৃতি দ্রুত সংরক্ষণ করা অতি জরুরি।

আরেক বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন বলেন, গুরুত্ব বিবেচনায় অতিদ্রুত ডাকবাংলোটি সংস্কার করে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর হিসেবে গড়ে তোলার জোর দাবি জানাচ্ছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিনুল হাসান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত ডাকবাংলোটি ইতিমধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: