ঢাকা | সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ [email protected] +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩

নবীনগরে পাটের আঁশ শুকানোর কাজে ব্যস্ত কৃষক-কৃষাণীরা

মো: মনিরুল ইসলাম | প্রকাশিত: ৩১ আগস্ট ২০২২ ২২:৩১

মো: মনিরুল ইসলাম
প্রকাশিত: ৩১ আগস্ট ২০২২ ২২:৩১

ছবি : সংগৃহীত

নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকে : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা বর্ষা মৌসুমে পাট কাটা, আঁশ ছাড়ানো, ধোয়া ও শুকানোর কাজে ব্যস্থ সময় কাটাচ্ছেন। এ বছর আবহাওয়া ও পরিবেশ অনুকূলে থাকায় পাটের ফলন ভাল হয়। নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতার কারণে পাটের চারা ডুবে যাওয়ায় ওই সব জমিতে পাট উৎপাদন কিছুটা বাধাগ্রস্থ হয়। উঁচু জমিতে কিছুটা ভাল ফলন হলেও বর্তমানে পানির অভাবে পাট পঁচাতে পারছেন না কৃষকরা। নিচু এলাকায় পানি পাওয়ায় কৃষকরা পাট পঁচানোর কাজে ব্যস্থ সময় কাটাচ্ছেন। এ মৌসুমে তারা পাটের আঁশ ছাড়িয়ে সারা বছরের জন্য পাট কাঠি সংগ্রহ করে রাখেন। কেউ কেউ আবার আর্থিক সংকটে বাজারে, ফড়িয়া ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার ফড়িয়াদের কাছে উচ্চ মূল্যে পাট বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জগলুল হায়দার জানান, ২০২১-২২ অর্থবছরে উপজেলার ২১টি ইউনিয়নে মোট পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়ে ছিল ৬২০ হেক্টর,কিন্ত অর্জিত হয়েছে ১,৩০০ হেক্টর। এ ছাড়া বাজারে পাটের মূল্য ভাল হওয়ায় কৃষকরা পাট চাষ করতে আগ্রহী। দেশে তুষা পাট, দেশী পাট, শন পাট ও বুগী পাট চাষ করা হয়। তার মধ্যে এ এলাকায় তুষা পাটই সবচেয়ে বেশী চাষ করা হয় এবং ফলন ও ভাল হয়।

এ বছর আমাদের (কৃষি অফিসের) আপ্রাণ চেষ্টায় এবং উচ্চ ফলনশীল পাটের বীজ বিতরণের ফলে নবীনগরের কৃষকগণ ব্যপক ভাবে পাট চাষ করছে। এ মৌসুমে বাজারে পাটের মূল্য ভাল থাকায় চাষিরা মোটামুটি পুঁজি উঠাতে সক্ষম হবেন বলে জানান, সংশ্লিষ্ট এলাকার পাট চাষিরা।

গোপালপুর গ্রামের পাট চাষি আব্দুল হালিম জানান, এ বছর ২ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি ,পাট ভাল হয়েছে।

রছুল্লাবাদ গ্রামের পাট চাষি রহিম মিয়া জানান, বৃষ্টিতে আমার জমির পাট ভাল হয়নি। ফলে এ বছর পাট চাষ করে ক্ষতিগ্রস্থ হব। এক সময় পাটকে সোনলী আঁশ বলা হত, পাট নাকি সোনার দামে বিক্রি হত। এখন বাজারে পাট নিলে কেউ কিনতে চায় না, তবে এ বছর পাটের মুল্য একটু ভাল।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: