ঢাকা | সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ [email protected] +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩

সেতু আছে সড়ক নেই

তৌকির আহাম্মেদ হাসু, সরিষাবাড়ী (জামালপুর) থেকে : | প্রকাশিত: ১৪ জুন ২০২২ ২১:৪৮

তৌকির আহাম্মেদ হাসু, সরিষাবাড়ী (জামালপুর) থেকে :
প্রকাশিত: ১৪ জুন ২০২২ ২১:৪৮

ছবি: তৌকির আহাম্মেদ হাসু

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার দিয়ারকৃষ্ণাই গ্রামে চার বছর আগে বন্যার সময় সাতপোয়া-বলারদিয়ার ঝিনাই নদীর সড়কের প্রায় ২০০ মিটার সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় দিয়ারকৃষ্ণাই চাকীবাড়ী খালের উপর নির্মিত সেতুটি ব্যবহার হচ্ছে না। বছরের পর বছর অতিবাহিত হলেও সংযোগ সড়ক সংস্কার করা হয়নি। যার কারণে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন আশেপাশের ৮ গ্রামের মানুষ।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, পৌর এলাকার সাতপোয়া শহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বালিয়া সেতু পর্যন্ত সড়কের দিয়ারকৃষ্ণাই গ্রামের চাকীবাড়ী খালের ওপর ৩০ ফুট দৈর্ঘ্যের সেতুটি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর প্রায় ২৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করে। ২০১৭ সালে এই সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। কিন্তু এক বছর পরই বন্যায় সেতুর সংযোগ সড়কের দক্ষিণ অংশে প্রায় ২০০ মিটার নদীর পাড় ভেঙে নদী গর্ভে বিলীন হওয়ায় সেতুটি অকেজো হয়ে পড়ে আছে। মাইজবাড়ি, সাতপোয়া, খাগুরিয়া, দিয়ারকৃষ্ণাই, চরবালিয়া, বালিয়া, বলারদিয়ার ও চরহাটবাড়ী -এই আটটি গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ সড়কটি ব্যবহার করতেন। কিন্তু সেতুর সংযোগ সড়ক নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় যানবাহন চলাচলসহ যাতায়াত বন্ধ রয়েছে।

দিয়ারকৃষ্ণাই গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান মিয়া (৪৫) বলেন, ‘এই ব্রিজ তো আর ব্যবহার করা যায় না।জমিতে আবাদ করে ফসল বাড়িতে নিতে খুব কষ্ট হয়। অনেক রাস্তা ঘুরে আসতে হয়। কবে যে আমাদের কষ্ট দূর হবে তা আল্লাহই ভালো জানে।

এদিকে সাতপোয়া গ্রামের আঃ গণি (৫৮) জানান, প্রায় চার বছর ধরে সেতু আর সড়কটি এভাবে পড়ে আছে। সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় অনেক রাস্তা ঘুরে আসতে হয়। আশেপাশের বিভিন্ন গ্রামের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও এই সড়কটি ব্যবহার করতেন।

সাতপোয়া শহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী রুবেল মিয়া বলে, সড়কটি বন্যার পানিতে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় স্কুলে যেতে আমাদের অনেক কষ্ট হয়।আমাদেরকে অনেক রাস্তা ঘুরে স্কুল আসতে হয়।

সাতপোয়া শহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সারবিন নাহার বলেন, এই সড়ক ও সেতু দিয়ে বিদ্যালয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী পড়তে আসতো। সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় অনেকেই নিয়মিত স্কুলে আসতে চায় না।

জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) হুমায়ূন কবীর বলেন, বন্যার কারণে ওই সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এটি দ্রুত মেরামত করে দেওয়া হবে। তখন আর মানুষের যাতায়াতে দুর্ভোগ থাকবে না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উপমা ফারিসা জানান, নতুন প্রকল্প এলেই সেতুর সংযোগ সড়ক মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: