ঢাকা | সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ [email protected] +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩

ডুমুরিয়ায় বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে শিক্ষার্থীরা

মো: মনিরুল ইসলাম | প্রকাশিত: ২ জুলাই ২০২২ ০২:২৩

মো: মনিরুল ইসলাম
প্রকাশিত: ২ জুলাই ২০২২ ০২:২৩

ছবি: এম, সেলিম আবেদ

এম, সেলিম আবেদ, ডুমুরিয়া (খুলনা) থেকে : কয়েকটি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা বৈঠাহারা নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণের উদ‍্যোগ নেয়নি কতৃপক্ষ। তাই এলাকাবাসী নিজেদের প্রচেষ্টায় তৈরি করেছে বাঁশের সাঁকো দিয়ে তৈরি সাঁকো। খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরখালী ইউনিয়নের একেবিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয় পিছন দিকে এই বাঁশের সাঁকো বয়েরশিং, পূটিমারী ও বৈঠা হারা নদীর উপর বাঁশের তৈরী এ সাঁকোটি কয়েক জায়গায় ভেঙ্গে র্দীঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে।

ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোটি সংষ্কারের উদ্যোগও নেয়নি কতৃর্পক্ষ। এই সাঁকোটি কয়েক যুগ থেকে বেশ কয়েকবার এলাকাসীর উদ‍্যোগে সংস্কার করা হয়। এখন এটির বেহাল অবস্থা। ফলে প্রতিদিনই ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে পারাপারের সময় দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ মানুষ। তাই ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোটি ভরা বর্ষার আগেই সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এই বাঁশের সাঁকোটি দিয়ে আধারমানিক, পুটিমারী, বৈঠা হারা, বয়েরশিং, দক্ষিণ পাড়াসহ সর্বস্তরের প্রায় ১০ হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র পথ। এ সাঁকো পার হয়েই তাদেরকে উপজেলা খর্নিয়া, বরাতিয়া, চুকনগর, কাঠালতলা, সাহাপুর, ১৮ মাইলসহ বিভিন্ন হাট ও ডুমুরিয়া উপজেলা সদর এবং খুলনা শহরে আসতে হয়। এছাড়া একেবিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বয়েরশিং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পল্লিশ্রী মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষক, কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ পার্শ্ববর্তী মাছের খামার ও গ্রামের মানুষকেও কৃষিকাজসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রতিনিয়ত এ বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। এ ছাড়াও ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে জরুরি চিকিৎসা সেবা এবং উৎপাদিত কৃষিপন্য সদরের বাজারগুলোতে বাজারজাত করেন স্থানীয় কৃষকরা।

এবিষয়ে পূটিমারির স্থানীয় সমাজসেবক আরশাদ আলীসহ এলাকার একাধিক ব্যাক্তি জানান, অনেক আগে এলাকাবাসী নিজস্ব উদ্যোগে পারাপারের জন্য বাঁশের সাঁকো তৈরী করে কোন রকমে কষ্ট করে পারাপার হত এখন ২০১৯ সালে আবার চলাচলের জন্য বাঁশের সাঁকো তৈরী করে এলাকাবাসী। এখন সাঁকোটির দুই পাশ ভেঙ্গে যাওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয় স্কুল কলেজ ছাত্র-ছাত্রীদের এখন প্রতিদিনই বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টিতে বাঁশের সাঁকোর পাটাতন খুবই পিচ্ছিল হয়। অনেকেই সাঁকো পারাপারের সময় পিছলে পড়ে আহত হচ্ছে।

খুলনা ডুমুরিয়ার মাগুখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিমল চন্দ্র সানা জানান, যেহেতু এই বাঁশের সাঁকোটি প্রায় ৬৫ ফিট লম্বা আর বাঁশ খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়, তাই এখানে একটি ব্রীজ নির্মাণ করা জরুরী। আমি এ ব‍্যাপারে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: