ঢাকা | শুক্রবার, ২ মে ২০২৫, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ [email protected] +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩

ফুলবাড়ীতে ভাঙ্গা কাঠের সেতুতে ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার

মো: মনিরুল ইসলাম | প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০২২ ২৩:৩৬

মো: মনিরুল ইসলাম
প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০২২ ২৩:৩৬

ছবি: সংগৃহীত

ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) থেকে : কয়েকটি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তায় নীলকমল নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণের উদ‍্যোগ নেয়নি প্রশাসন। তাই এলাকাবাসী নিজেদের প্রচেষ্টায় তৈরি করেছে কাঠের সেতু। কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ভাঙ্গামোর ইউনিয়নের পশ্চিম নগরাজপুর গ্রামের নীলকমল নদীর উপর কাঠের তৈরী এ সেতুটি কয়েক জায়গায় ভেঙ্গে র্দীঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। রেলিং বিহীন ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি সংষ্কারের উদ্যোগও নেয়নি কতৃর্পক্ষ। এই কাঠের সেতুটি ২০১৭ সাল থেকে বেশ কয়েকবার এলাকাসীর উদ‍্যোগে সংস্কার করা হয়। এখন এটির বেহাল অবস্থা। ফলে প্রতিদিনই ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে পারাপারের সময় দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। তাই ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি ভরা বর্ষার আগেই সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এই সেতুটি মাঝিপাড়া, মিস্ত্রিপাড়া, মাস্টার পাড়া, হিন্দু পাড়া, মুন্সি পাড়া, পশ্চিম নগরাজপুর গ্রামের প্রায় ছয় হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র পথ। এ সেতু পার হয়েই তাদেরকে খোলারহাট, পাখিরহাট, খোচাবাড়ী, খড়িবাড়ী হাট ও উপজেলা সদরে আসতে হয়। এছাড়া পশ্চিম নগরাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ পার্শ্ববর্তী খামার ও ব্যাপারীটারী গ্রামের মানুষকেও কৃষিকাজসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রতিনিয়ত এ সেতু দিয়ে যাতায়াত করতে হয়।

এ ছাড়াও এই ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতু দিয়ে জরুরি চিকিৎসা সেবা নিতে এবং উৎপাদিত কৃষিপন্য সদরের বাজারগুলোতে বাজারজাত করেন স্থানীয় কৃষকরা।

স্থানীয় ইদ্রিস আলী, বেলাল হোসেন, সিরাজুল ইসলাম ও ৫ নং ভাঙ্গামোর ইউপি সদস্য মাহাবুবুর রহমান জানান, অনেক আগে এলাকাবাসী নিজস্ব উদ্যোগে পারাপারের জন্য বাঁশের সাঁকো তৈরী করে কোন রকমে কষ্ট করে পারাপার হত। ২০২১ সালে আবার চলাচলের জন্য কাঠের সেতু তৈরী করে এলাকাবাসী। এখন সেতুটির দুই পার ভেঙ্গে যাওয়ায় এবং সেতুর দুই পাশে রেলিং না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়। এখন প্রতিদিনই বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টিতে কাঠের সেতুর পাটাতন খুবই পিচ্ছিল হয়। অনেকেই সেতু পারাপারের সময় পিছলে পড়ে আহত হচ্ছে।

৫ নং ভাঙামোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী শেখ জানান, যেহেতু এই কাঠের সেতুটি প্রায় ৮৫ ফিট লম্বা আর কাঠ খুব তারাতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়, তাই এখানে একটি ব্রীজ নির্মাণ করা জরুরী। আমি এ ব‍্যাপারে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: