ঢাকা | শুক্রবার, ২ মে ২০২৫, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ [email protected] +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩

সাদুল্লাপুরে ঘাস চাষে লাভবান সবিনয় চন্দ্র

মো: মনিরুল ইসলাম | প্রকাশিত: ২৮ জুন ২০২২ ০০:১৮

মো: মনিরুল ইসলাম
প্রকাশিত: ২৮ জুন ২০২২ ০০:১৮

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক : কৃষক সবিনয় চন্দ্র (৫৫)। কৃষি কাজই তার নেশা ও পেশা। শুধু ফসল উৎপাদন নয়, লালন-পালন করে চলেছেন গরু-বাছুরও। এসব পশুর খাদ্য পূরণের পাশাপাশি আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখেন তিনি। সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে পথের ধারে রোপণ করেছেন নেপিয়ার ঘাস।

শনিবার (২৫ জুন) বিকালে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর-নলডাঙ্গা সড়কের জামুডাঙ্গা (সরকারপাড়া) নামকস্থানে পথের ধারে লাগানো এই ঘাসগুলো কাটতে ব্যস্ত ছিলেন কৃষক সবিনয় চন্দ্র।

তিনি জানান, প্রথম বছরে কম উৎপাদন হলেও দ্বিতীয় বছর থেকে তা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে নিজের গরুর খাদ্য চাহিদা মিটিয়েও মাসে প্রায় ১০-১২ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘাস বিক্রি করা হচ্ছে। এতে করে একদিকে যেমন গরুতে বাড়ছে লাভ, অন্যদিকে ঘাস বিক্রি করে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরছে।

তিনি আরো বলেন, এক সময় গৃহপালিত গরুর খাদ্য যোগান দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল। এখন আর সেই চিন্তা নেই।

জানা যায়, জামুডাঙ্গা (সরকারপাড়া) গ্রামের কৃষক পরিবারের মৃত ললিত চন্দ্র সরকারের ছেলে সবিনয় চন্দ্র সরকার। বাবার মৃত্যুর পর সংসারের হাল ধরতে হয়েছে তাকে। যুবক বয়স থেকেই কৃষি ফসলের ওপর নির্ভশীল। ধান, পাট ও ভূট্টাসহ নানান ফসল উৎপাদন করে ভালোভাবে জীবিকা নির্বাহ হচ্ছে তার। এর পাশাপাশি গোয়াল ঘরে পালন করছেন এক ঝাঁক গরু-বাছুর। দুই বছর আগে পরিকল্পনা নেন উন্নত জাতের ঘাস আবাদের। এ থেকে নিজের গরু-বাছুরের খাদ্য চাহিদা পূরণ করে আর্থিক লাভেরও স্বপ্ন দেখেন। তাই দৃঢ় মনোবল নিয়ে নিজের জমির ওপরে সড়কের ধারে রোপণ করেন নেপিয়ার জাতের ঘাস। ঘাস রোপণের ৩ মাস পর থেকে প্রত্যেক মাসে একবার করে ঘাস কাটা হচ্ছে।

সাদুল্লাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মতিউল আলম বলেন, পরিল্পনা অনুযায়ী উন্নত জাতের ঘাস আবাদ খুবই লাভজনক। যেকোনো কৃষক এটি চাষ করে সহজে লাভবান হতে পারেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: