ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ [email protected] +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩

বরিশালকে হারিয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রংপুর

আল আমিন | প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৪:৩২

আল আমিন
প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৪:৩২

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:  এলিমিনেটর ম্যাচেই থেমে গেল বিপিএলের নবম আসরে ফরচুন বরিশালের যাত্রা। রবিবার প্লে অফের প্রথম ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের কাছে ৪ উইকেটে পরাজিত হয়েছে সাকিব আল হাসানের দল।

ফরচুন বরিশালকে ৪ উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে জায়গা করে নিয়েছে রংপুর রাইডার্স। রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) টস জিতে বরিশালকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় রংপুরের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান।

প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৭০ রান সংগ্রহ করে ফরচুন বরিশাল। ১৭১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৩ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটের জয় পায় রংপুর রাইডার্স।

টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই চমক দেয় বরিশাল। আন্দ্রে ফ্লেচারের সঙ্গে ইনিংস উদ্বোধন করতে নামেন মিরাজ। শুরু থেকেই ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দলের রানের গতি বাড়ান মিরাজ। তার তুলনায় অনেকটা শান্ত ছিলেন ফ্লেচার। প্লে-অফ পর্বের জন্য এই ক্যারিবিয়ানকে উড়িয়ে আনলেও নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি সে। ১৬ বল খেলে ১২ রান করেই আউট হয়ে যান ফ্লেচার।

সঙ্গীকে হারালেও ব্যাটের গতি কমতে দেয়নি মিরাজ। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন তিনে নামা মাহমুদুল্লাহ। দলীয় শতরান পার করেন এই দুজন মিলেই। ২১ বলে ৩৪ করে মাহমুদুল্লাহ আউট হলে কিছুটা কমে রানের গতি। মিরাজও আউট হয়ে যান ৪৮ বলে ৬৯ রান করেই।

এরপর করিম জানাতের ২৫ বলে ৩৩ আর ভানুকা রাজাপাকসের ১০ বলে ১৭ রানের ইনিংসে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৭০ রান সংগ্রহ করে বরিশাল। রংপুরের হয়ে দুই উইকেট নেন লঙ্কান অলরাউন্ডার দাসুন শানাকা, আর একটি উইকেট নেন রাকিবুল হাসান।

১৭১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় রংপুর। স্কোরবোর্ডে রান যোগ করার আগেই ইনিংসের প্রথম ওভারে সাজঘরে ফিরে যান ওপেনার নাইম শেখ। এরপর ক্রিজে আসা শামিম হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন আরেক ওপেনার রনি তালুকদার।

দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৬১ রান যোগ করেন এই দুই ব্যাটার। এরপর ১৭ বলে ২৯ রান করে আউট হন রনি তালুকদার। রনির বিদায়ের পর ক্রিজে আসা অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন শামিম।

তবে দলীয় ৯৬ রানে ১৩ বলে ১৮ রান করে আউট হন সোহান। এরপর ক্রিজে আসেন নিকোলাস পুরান। তবে টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। দলীয় ১২২ রানে ৮ বলে ৫ রান করে ফিরে যান পুরান।

একদিকে উইকেট হারলেও অন্যপ্রান্তে সাবলীলভাবে ব্যাটিং করতে থাকেন শামিম। নিজের অর্ধশতক পূরণের পরও নিজের ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে যান শামিম। তবে দলীয় ১৪০ রানে ৫১ বলে ৭১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরে যান শামিম।

এরপর ক্রিজে এসে দ্রুতই ফিরে যান ডোয়াইন ব্রাভো। দলীয় ১৫১ রানে ৩ বলে ২ রান করে ফিরে যান ব্রাভো। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৮ রান প্রয়োজন হয় রংপুরের। শেষ পর্যন্ত দাসুন শানাকা ও মেহেদী হাসানের ব্যাটে ভর করে ৩ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটের জয় পায় রংপুর রাইডার্স।

মেহেদী হাসান ৯ বলে ১৮ ও দাসুন শানাকা ১২ বলে ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন। বরিশালের পক্ষে সাকিব, রাব্বি ও খালেদ নেন ২টি করে উইকেট।

 

বিদেশ বার্তা/ এএএ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: