ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ [email protected] +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩

সেহরি না খেয়ে রোজা রাখা যাবে কি?

মো: মনিরুল ইসলাম | প্রকাশিত: ২৪ মার্চ ২০২২ ২৩:৩৬

মো: মনিরুল ইসলাম
প্রকাশিত: ২৪ মার্চ ২০২২ ২৩:৩৬

ছবি: সংগৃহীত

ধর্ম ডেস্ক: রোজা রাখার নিয়তে সেহরি খাওয়া সুন্নত। সেহরি অত্যন্ত বরকতময় খাবার। কিন্তু কেউ যদি সেহরি না খেয়ে রোজা রাখে, তাহলে কি তার রোজা আদায় হবে?

এই প্রশ্নের উত্তর হলো- সেহরি না খেয়ে রোজা রাখা জায়েজ হবে, এতে কোনো আপত্তি নেই। তবে সেহরির সময় কিছু খেয়ে নেওয়া-ই বরকতময়। আল্লাহর নবী (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা সেহরি খাও। কেননা সেহরিতে আল্লাহ তাআলা বরকত রেখেছেন।’ (বুখারি, হাদিস : ১৯২৩; মুসলিম, হাদিস : ১০৯৫; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৬৯৩)

পেট ভরে যে খেতে হবে, এমন কোনো শর্ত নেই। মাছ, দুধ বা খেজুর কিংবা হালকা কিছু খেলেও সেহরি খাওয়া হয়। কেউ যদি সাহরিতে উঠতে না পারে, তাহলে তাকেও রোজা রাখতে হবে। সেহরি খাওয়া মুস্তাহাব ও বরকত। (বিনায়া শরহে হেদায়া : ৪/১০৩)

সেহরি খাওয়ার অনেক ফজিলত হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আহলে কিতাব তথা ইহুদি-খ্রিস্টান আর মুসলমানদের রোজার মধ্যে শুধু সেহরি খাওয়াই পার্থক্য। অর্থাৎ তারা সেহরি খায় না আর আমরা সাহরি খাই।’ (মুসলিম, হাদিস : ১৮৪৩; তিরমিজি, হাদিস : ৬৪২)

এছাড়াও বিলম্বে সেহরি খাওয়া উত্তম। আগে খাওয়া হয়ে গেলে- শেষ সময়ে কিছু চা, পানি, পান ইত্যাদি খেলেও সেহরির ফজিলত অর্জিত হবে। (হেদায়া : খণ্ড : ০১, পৃষ্ঠা : ১৮৬)

পেটে ক্ষুধা না থাকলে সেহরির সময় দুই-একটি খেজুর খেয়ে নেওয়া উত্তম বা অন্য কোনো জিনিস খেয়ে নেবে। (হেদায়া : খণ্ড : ০১, পৃষ্ঠা : ১৮৬)

এছাড়াও বিলম্বে সেহরি খাওয়া উত্তম। আগে খাওয়া হয়ে গেলে- শেষ সময়ে কিছু চা, পানি, পান ইত্যাদি খেলেও সেহরির ফজিলত অর্জিত হবে। (হেদায়া : খণ্ড : ০১, পৃষ্ঠা : ১৮৬)

আল্লাহ তাআলা আমাদের সঠিকসময়ে সেহরি খেয়ে রোজা রাখার তাওফিক দান করুন। আমিন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: