ঢাকা | সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ [email protected] +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩

আজ পদত্যাগের ঘোষণা দিবে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী

আল আমিন | প্রকাশিত: ৮ জুলাই ২০২২ ০২:১৫

আল আমিন
প্রকাশিত: ৮ জুলাই ২০২২ ০২:১৫

ফাইল ছবি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:  যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন দল থেকে পদত্যাগ করতে রাজি হয়েছেন। বিবিসি বলছে, আজকেই তিনি রাজনৈতিক দল কনজারভেটিভ পার্টি থেকে পদত্যাগ করবেন। জনসনের পদত্যাগের ফলে শরৎ অর্থাৎ আগামী অক্টোবরের মধ্যে নতুন নেতা নির্বাচিত করবে কনজারভেটিভ পার্টি। এরপর ওই মাসেই দলের সম্মেলনে দেশটিতে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করা হবে।

ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসির এক খবরে বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানানো হয়েছে।

জনসনের নেতৃত্বাধীন সরকার থেকে একের পর এক মন্ত্রী ও সরকার বিষয়ক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার পদত্যাগের পর তিনি এই সিদ্ধান্ত নিলেন। মন্ত্রী ও পদস্থ কর্মকর্তা মিলিযে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি সরে দাঁড়িয়েছেন জনসনের সরকার থেকে। এরপর থেকেই তার পদত্যাগের গুঞ্জন চাউর হয়।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, আজ বিকালের দিকে পদত্যাগের ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন জনসন। যুক্তরাজ্য সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, আজ প্রধানমন্ত্রী একটি বিবৃতি দেবেন। সেখানে পদত্যাগের বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে।

কনজারভেটিভ পার্টির সংসদ সদস্য টবিয়াস এলোড প্রথমে জনসনের পদত্যাগের বিষয়টি সামনে আনেন। তিনি বলেন, পার্টির দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন জনসন। এ নিয়ে দলে কোনো মতবিরোধ নেই।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকেও সরে দাঁড়াচ্ছেন।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেবেন জনসন, যার মধ্য দিয়ে তার প্রধানমন্ত্রিত্বেরও অবসান ঘটবে। ক্ষমতাসীন দলের নেতৃত্ব চলে গেলে সরকার প্রধানের পদেও থাকা হবে না জনসনের। তবে কনজারভেটিভরা নতুন নেতা ঠিক করার আগ পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব চালিয়ে নেবেন।

জনসন তার পদত্যাগের সিদ্ধান্তের কথা এরইমধ্যে টোরি পার্লামেন্টারি গ্রুপ ১৯২২ কমিটির চেয়ারম্যানকে কাছে জানিয়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। অক্টোবরে দলীয় সম্মেলনে দায়িত্ব নেওয়া নতুন নেতাই প্রধানমন্ত্রী পদে জনসনের স্থলাভিষিক্ত হবেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স লিখেছে, দলে বিদ্রোহীদের পাশাপাশি নতুন নিয়োগ পাওয়া মন্ত্রীরাও জনসনকে ছেড়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিলে তার সরকার অনেকটাই অকার্যকর হয়ে পড়ে। এ পরিস্থিতিতে পদত্যাগ ছাড়া অন্য কোনো পথ জনসনের জন্য খোলা ছিল না।

গত ৬ জুন বরিস জনসনের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট আয়োজন করেন কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যরা।

বিদেশ বার্তা/ এএএ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: