
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বুধবার মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে উদযাপিত হয় মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। ওই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের ন্যায় ফিলিস্তিনেও উদযাপিত হয় দিনটি। তবে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের নৃশংসতায় সেখানে নেই ঈদের আনন্দ। বরং ঈদের দিনও ইসরায়েলি বর্বরতার শিকার হয়েছেন ফিলিস্তিনিরা।
বুধবার গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ঈদের দিনও ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। মঙ্গলবার বিকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সেখানে নিহত হয়েছে ১২৫ ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছে আরও ৫৬ জন।
হামলায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রধান নেতা ইসমাইল হানিয়ার তিন ছেলে ও তিন নাতিও রয়েছে।
গাজা কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে বেসামরিক গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। ওই গাড়িতে ছিলেন ইসমাইল হানিয়ার তিন ছেলে ও তিন নাতি। তারা সবাই নিহত হন।
এ নিয়ে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর অবিরাম হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৪৮২ জনে।
এর মধ্যে শিশুর সংখ্যাই প্রায় ১৪ হাজার ৫০০। আর নারী রয়েছে ৯ হাজার ৫০০।
এছাড়াও বিগত ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় আহত হয়েছে আরো ৭৬ হাজার ৪৯ ফিলিস্তিনি।
হতাহতের এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। কেননা, ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংস হামলার শিকার হয়ে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গাজায় নিখোঁজ রয়েছে অন্তত ৮ হাজার মানুষ।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, তারা ইসরায়েলি বোমা হামলায় গুড়িয়ে যাওয়া ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ দিনের দখলদারিত্ব, নিপীড়ন-নির্যাতন ও হত্যার প্রতিবাদে গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ঢুকে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাস। ওই দিন হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ইসরায়েলে অন্তত এক হাজার ১৩৯ জন নিহত হয়। আহত হয় আরো ৮ হাজার ৭৩০ জন। হামাসের এই হামলার জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েল। সূত্র: আল জাজিরা, আল মায়াদিন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: