ঢাকা | শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ [email protected] +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩

মালিতে হামলা; নিহত ৮ সৈন্য

বিদেশ বার্তা | প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২৩:১১

বিদেশ বার্তা
প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২৩:১১

মালিতে হামলা

 

ফরাসি সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়ার পাশাপাশি এই অঞ্চলে রাশিয়ান সৈন্যদের পা রাখার পর মালির নিরাপত্তা নিয়ে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
এক দশক পর পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালি থেকে ফ্রান্স ও তাদের আফ্রিকান-ইউরোপিয়ান মিত্রদের সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হয় সম্প্রতি। এ ঘোষণার একদিন পরেই মালির সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চল আরকামে বিদো্রহীদের হামলায় আটজন সৈন্য নিহত হয়েছেন।
দেশটির সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, হামলা ঠেকাতে পাল্টা হামলা চালায় নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা। এতে ৫৭ জন কথিত জঙ্গি সদস্য নিহত হয়।

স্থানীয়রা জানান, চলতি সপ্তাহেই হামলায় ৪০ জন সাধারণ নিরীহ মানুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। এই আরকাম অঞ্চলে ইসলামিক জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্যরা সক্রিয় রয়েছে বলে জানা গেছে।
মালিতে ২০১৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় বারের মতো বিজয়ী হন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বোউবাকার কেইতা। কিন্তু দুর্নীতি, অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় তার ওপর অনেকের ক্ষোভ তৈরি হয়। ফলে ২০২০ সালে মালিতে সামরিক বাহিনীর একটি অংশের হাতে আটক হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট কেইতা পদত্যাগ করেন। তখন থেকে দেশটির নতুন সামরিক নেতাদের সঙ্গে সাবেক ঔপনিবেশিক শক্তি ফ্রান্সের নানা ইস্যুতে মতবিরোধ দেখা দেয়। সেকারণে তারা এ বছর গণতান্ত্রিক নির্বাচন অনুষ্ঠানের চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছে এবং ফরাসী রাষ্ট্রদূত আপত্তি জানালে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) মালিতে ইসলামপন্থী বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ফ্রান্স এবং তার মিত্ররা বলেছে যে তারা সৈন্য প্রত্যাহার শুরু করবে। এক সংবাদ সম্মেলনে ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে মালি থেকে সেনা প্রত্যাহার হবে। ২০১৩ সালে দেশটিতে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছিল ফ্রান্স ও তাদের মিত্ররা। তবে আফ্রিকার দেশ মালিতে নিজেদের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করতে নারাজ ফরাসি প্রেসিডেন্ট।
অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলোর সৈন্যসহ মালির যৌথ মিশন যাকে ‘তাকুবা টাস্ক ফোর্স’ বলা হয়। এটির সৈন্যরা এখন সীমান্ত পেরিয়ে নাইজারে অল্প দূরত্বে চলে যাবে এবং তাদের বর্তমান ঘাঁটির কাছাকাছি থাকবে বলে জানা গেছে।

নাইজারের প্রেসিডেন্ট গত শুক্রবার বলেন যে মালি থেকে ফরাসি বাহিনী এবং তাদের মিত্রদের সেনা প্রত্যাহারের পর দেশটির সীমান্ত অঞ্চলে জঙ্গি গোষ্ঠীর তৎপরতা আরও বাড়বে। এর আগে সেনেগালের প্রেসিডেন্ট ম্যাকি স্যালও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে সাহেল রাজ্যগুলোর সঙ্গে আরও সংহতি স্থাপনের আহ্বান জানান। সেনেগালের প্রেসিডেন্ট বলেন, আফ্রিকাতে যদি শান্তি ও নিরাপত্তা না থাকে, তাহলে বিশ্বে শান্তি ও নিরাপত্তা থাকবে না।
সূত্র: বিবিসি

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: