ঢাকা | সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ [email protected] +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩

গাজায় হামলা বন্ধের আহ্বান জানানো ইসরাইলি জিম্মি নিহত

মো: মনিরুল ইসলাম | প্রকাশিত: ৭ এপ্রিল ২০২৪ ১২:২১

মো: মনিরুল ইসলাম
প্রকাশিত: ৭ এপ্রিল ২০২৪ ১২:২১

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরাইল সরকারের প্রতি যুদ্ধ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন ফিলিস্তিনের গাজায় হামাসের হাতে বন্দি এক ব্যক্তি। শনিবার (৬ এপ্রিল) ৪৭ বছর বয়সী এলাদ কাৎজির নামের ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর দাবি, শনিবার রাতে গাজার খান ইউনিসে অভিযান চালানোর সময় কাৎজিরের মরদেহ উদ্ধার করেন তারা।

সামরিক বাহিনী আরো জানিয়েছে, গাজা থেকে এলাদ কাৎজিরের মরদেহ ইসরাইলে নেয়া হয়েছে।চিকিৎসকদের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত হওয়ার পর বিষয়টি তার পরিবারকে জানানো হয়।

গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালায় গাজার হামাস। এতে অন্তত ১২০০ মানুষ নিহত হন বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। আর ২৫০ জনেরও বেশি মানুষকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস।

ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধাদের হামলায় নিহত হন কাৎজিরের বাবা আব্রাহাম। এরপর কাৎজির ও তার মা হান্নাকে জিম্মি করে নিয়ে যাওয়া হয় গাজায়। গত নভেম্বরে ছয় দিনের যুদ্ধবিরতির সময় আরও ১০৪ জিম্মির সঙ্গে কিৎজিরের মাকেও মুক্ত করে দিয়েছিল হামাস।

 কিৎজিরের মৃত্যুর জন্য ইসরাইলকে দায়ী করেছেন তার বোন পালতি কাৎজির। তার মতে, যুদ্ধবিরতির নতুন চুক্তিতে ইসরাইল সরকার রাজি হলে তার ভাই জীবিত বাড়িতে ফিরে আসতেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পালতি কাৎজির লিখেছেন, ‘আমাদের নেতারা ভীরু। রাজনৈতিক স্বার্থে তারা সিদ্ধান্ত নেন। গাজায় কেন যুদ্ধবিরতির নতুন একটি চুক্তি এখনো হচ্ছে না? প্রধানমন্ত্রী, যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা ও জোট সরকারের সদস্যরা আপনারা আয়নার সামনে গিয়ে নিজেদের দিকে একবার তাকান এবং বলুন, আপনাদের হাত রক্তে রঞ্জিত কি না।’

 জিম্মিদের নিয়ে গত জানুয়ারিতে একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করে হামাস। সে ভিডিওতে কাৎজিরকে বলতে শোনা যায়, তিনি একাধিকবার মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছেন। ওই ভিডিও বার্তার মাধ্যমে গাজায় হামলা বন্ধের জন্য ইসরাইল সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি।

 তিনি বলেছিলেন, গাজায় হামলা বন্ধ করে জিম্মিদের তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: