
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শিল্পোন্নত সাত দেশের জোট জি-৭–এর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা জাপানের নাগানো অঞ্চলের অবকাশ শহর কারুইজাওয়ায় রোববার থেকে তিন দিনের বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। বৈঠকের দ্বিতীয় দিনে সোমবার আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি, বিশেষ করে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন তাঁরা।
সেখানে তারা ইউক্রেনে হানা দেওয়ার জন্য রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা বৃদ্ধি এবং তাইওয়ান প্রণালিতে চীনের কর্মকাণ্ডের জন্য বেইজিংয়ের নিন্দা জানান।
আল জাজিরার খবর অনুসারে, জি-৭ নেতারা আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে চীনকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়েছে। একইসঙ্গে ব্লকের পরাষ্ট্রমন্ত্রীরা সুদানে চলমান সংঘাত বন্ধেরও আহ্বান জানিয়েছেন।
জাপানের কারুজায়া শহরে তিনদিনের বৈঠক শেষে মঙ্গলবার জি-৭ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন। এই বিবৃতিতে জি-৭ নেতারা পরমাণু এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির জন্য উত্তর কোরিয়ার সমালোচনা করেন। তারা সুদান এবং মিয়ানমারের সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বেসরকারি সংস্থাগুলোর (এনজিও) ওপর তালেবান যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তা প্রত্যাহারেরও আহ্বান জানানো হয়েছে।
আগামী মাসে জাপানের হিরোসিমায় জি-৭ এর শীর্ষ সম্মেলন (সামিট) অনুষ্ঠিত হবে। আসন্ন সম্মেলন উপলক্ষে কারুজায়া শহরে অনুষ্ঠিত তিনদিনের বৈঠকে একটি রূপরেখা তৈরি করা হয়। রূপরেখায় ইরানের পরমাণু সম্প্রসারণ এবং অন্যান্য হুমকি নিয়েও কথা বলা হয়েছে।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, জি-৭ এর সম্মেলনে মূলত দুইটি সংকট নিয়ে আলোচনা করা হয়। একটি হলো ইউক্রেন সংকট অন্যটি হলো তাইওয়ান ঘিরে চীনের সামরিক রণকৌশল। তবে হিরোসিমায় জি-৭ এর আগামী বৈঠকে ফোকাস থাকবে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ।
বিদেশ বার্তা/ এএএ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: