ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ১ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ [email protected] +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩

ইস্তাম্বুলে বৈঠকের পর ইউক্রেন থেকে সেনা কমাচ্ছে রাশিয়া

মো: মনিরুল ইসলাম | প্রকাশিত: ৩০ মার্চ ২০২২ ১৯:১৮

মো: মনিরুল ইসলাম
প্রকাশিত: ৩০ মার্চ ২০২২ ১৯:১৮

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্কের মধ্যস্থতায় ইস্তাম্বুলে শান্তি আলোচনার পর পরই ইউক্রেনের কিছু অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের চারপাশে এবং উত্তরাঞ্চলীয় চেরনিহিভ শহরে তাদের সামরিক তৎপরতা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমিয়ে দেবে। খবর বিবিসি’র।

ফেব্রুয়ারি মাসের ২৪ তারিখে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার এই সিদ্ধান্তকে সবচেয়ে ইতিবাচক ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ইস্তাম্বুলে তিন ঘণ্টার বৈঠক শেষে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভুলত কাভুসগলুও জানান, আলোচনায় বড় ধরনের অগ্রগতি হয়েছে। উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনা শুরু হওয়ার পর থেকে এবারই উল্লেখযোগ্য রকমের অগ্রগতি ঘটলো।

অপরদিকে রুশ কর্মকর্তারাও বলেছেন, আলোচনা এখন এক বাস্তব পর্যায়ে পৌঁছেছে। কিয়েভের ওপর রাশিয়ার সামরিক আক্রমণের পরিকল্পনা অনেকদিন ধরেই থমকে আছে। ইউক্রেনের সৈন্যদের প্রতিরোধের মুখে রাজধানীর আশপাশের বেশ কিছু জায়গা থেকে রুশ বাহিনী এরই মধ্যে পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছে।

রাশিয়ার ডেপুটি প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলেকজান্দার ফোমিন বলেছেন, তাদের এ সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য হচ্ছে পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধি করা এবং আরো সমঝোতার পরিবেশ তৈরি করা।

খবরে বলা হয়, ইস্তাম্বুলের শান্তি সংলাপে ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা বলেছেন, তাদেরকে নিরাপত্তার গ্যারান্টি দেওয়া হলে পশ্চিমা প্রতিরক্ষা জোট ন্যাটোতে যোগ না দিয়ে তারা নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে ভূমিকা পালনের প্রস্তাব দিয়েছে। আর এটাই রাশিয়ার প্রধান দাবি। আলোচনা শেষে রুশ প্রতিনিধিরা বলেছেন, তারা এ প্রস্তাব প্রেসিডেন্ট পুতিনের কাছে পৌঁছে দেবেন।

এদিনের শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার ডেপুটি প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলেকজান্দার ফোমিন অংশ নেন। পরে রুশ টেলিভিশনকে তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের নিরপেক্ষতা এবং পরমাণুমুক্ত মর্যাদা এবং নিরাপত্তার ব্যাপারে’ অগ্রগতি হয়েছে।

এর পরই রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইউক্রেনে সামরিক তৎপরতা নাটকীয়ভাবে কমিয়ে আনার ঘোষণা দেয়।

ইউক্রেন পক্ষের মধ্যস্থতাকারী ওলেকসান্দার চ্যালি সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেশের ভৌগলিক অখণ্ডতা ও নিরাপত্তার জন্যই ইউক্রেনের নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কূটনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে তা অর্জন করা হবে।’

শান্তি আলোচনার পর ইউক্রেন জানিয়েছে, কিয়েভ ও চেরিনিহিভ এই দুই জায়গা থেকে রুশ সেনা কমিয়ে আনার লক্ষণ তারা দেখতে পাচ্ছেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: