ঢাকা | শুক্রবার, ২ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ [email protected] +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩

লিসিচানস্ক মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট

আল আমিন | প্রকাশিত: ৫ জুলাই ২০২২ ০৩:০৪

আল আমিন
প্রকাশিত: ৫ জুলাই ২০২২ ০৩:০৪

ফাইল ছবি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:  সম্প্রতি রাশিয়ার সেনাবাহিনী ও ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা দেশটির গুরুত্বপূর্ণ লিসিচানস্ক শহরের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয়।

ইউক্রেনের লুহানস্কের শেষ বড় ঘাঁটি লিসিচানস্ক শহরের পতনের পক্ষে সরাসরি সাক্ষ্য দিয়েছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী। তারা নিশ্চিত করেছে লিসিচানস্ক শহর থেকে ইউক্রেনের সেনারা সরে এসেছে এবং শহরটি এখন পুরোপুরি রাশিয়ার সেনাদের দখলে।

এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের আর্মি জেনারেল স্টাফ বলেছে, ‘লিসিচানস্কে তীব্র লড়াইয়ের পর ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাহিনী সেখান থেকে সরে এসেছে।’

রাশিয়ার হাত থেকে লিসিচানস্ক শহর মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। দূরপাল্লার পশ্চিমা অস্ত্রের সাহায্যে হারানো অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করা হবে বলে জানান তিনি।

এক ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, যদি আমাদের সেনাবাহিনীর কমান্ডাররা নির্দিষ্ট পয়েন্ট থেকে লোকজনকে প্রত্যাহার করে নেয় যেখানে শত্রুরা কঠোর অবস্থানে রয়েছে, তবে সেখানে একটাই অর্থ দাঁড়ায়। এটা লিসিচানস্ক শহরের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। একই সঙ্গে তিনি আধুনিক অস্ত্র সরবরাহের জন্য বিভিন্ন দেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। সূত্র: আল-জাজিরা।

উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়ান সৈন্যরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে। কিন্তু কিছু দিন পরই যুদ্ধের লক্ষ্য পরিবর্তন করে রাশিয়া দোনবাস ও দক্ষিণাঞ্চলকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা জানায় মস্কো। এর পরই কিয়েভের আশপাশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

ইউক্রেনে রাশিয়া সেনা অভিযান শুরুর পর থেকেই পোল্যান্ডসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিতে শুরু করে লাখ লাখ ইউক্রেনীয়।

এদিকে ন্যাটো প্রধান বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে দেশ রক্ষায় ইউক্রেন কঠিন মূল্য দিচ্ছে। রাশিয়াও ব্যাপক হতাহতের শিকার হচ্ছে। সূত্র: সিএনএন।

বিদেশ বার্তা/ এএএ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: