ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ [email protected] +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩

জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে: ড. কামাল হোসেন

আল আমিন | প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৫:১৩

আল আমিন
প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৫:১৩

ড. কামাল হোসেন

নিজস্ব প্রতিবেদক: জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রবীণ রাজনীতিক ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন। জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে দাবি করে তা রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

ভোটাধিকার রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মানুষকে ভোটাধিকারের পাহারাদার হতে হবে। এজন্য মানুষকে সচেতন করতে হবে, পাড়া–মহল্লায় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। ভোটাধিকার মানুষের সবচেয়ে মূল্যবান অধিকার। এটি রক্ষা করার জন্য সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। না হলে যারা এই অধিকার থেকে জনগণকে বঞ্চিত করতে চায়, তারা সফল হয়ে যাবে।’

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বর্তমান জাতীয় সংকট এবং সমাধানে নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এই মন্তব্য করেন।

ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘জনগণের দাবি যখন নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করা, তখন সরকার দেশের জাতির বিবেককে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য তড়িঘড়ি করে আইন প্রণয়ন করেছে একটি সার্চ কমিটি গঠনের জন্য, যা নির্বাচন কমিশন গঠনের আইন বলে প্রচার করা জাতির সঙ্গে তামাশা ও এক মহা প্রহসনমাত্র।’

অনুষ্ঠানে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির করা অনুসন্ধান কমিটির ওপরও আস্থা নেই। অনুসন্ধান কমিটির ওপর সুশীল সমাজের নেতারা আস্থা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু আমার আস্থা নেই। সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ মানুষ পাওয়া যাবে না।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন (ইসি) ইচ্ছা করলেই একটি ভালো নির্বাচন করতে পারবে না। এজন্য নির্বাচনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। নির্বাচনে বেশির ভাগ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের। তাদের সিদ্ধান্ত উল্টে দেওয়ার ক্ষমতা ইসির নেই।

ভোটকেন্দ্রে আইনগত ক্ষমতা প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের। তাদের সিদ্ধান্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা উল্টে দিতে পারেন না। রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন (জাতীয় নির্বাচনে) জেলা প্রশাসকেরা। আর প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হন সরকারি ও এমপিওভুক্ত বেশির ভাগ শিক্ষক এবং ব্যাংক কর্মকর্তা।

তারা জানেন পদে থাকতে হলে সরকারের কথা শুনতে হবে। এই অবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে হলে আমলাতন্ত্রের ওপর সরকারের ক্ষমতা কমাতে হবে। ইসি একা কিছু করতে পারবে না।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হলে সেখানে ড. কামাল হোসেন বা আকবর আলি খানকে নির্বাচন কমিশনার করা হলেও ভোট সুষ্ঠু হবে না।

আসিফ নজরুল বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনে সরকার ফলাফল বেহাত করতে তিনটি কাজ করছে। সরকার অনুগত লোকদের নিয়ে একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছে।’

তিনি আশঙ্কা করে বলেন, ‘এর মাধ্যমে একটি অনুগত ও মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে এবং পেপার অডিট ট্রেইল ছাড়া ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের মাধ্যমে আসল কারচুপি হবে।’

জাতীয় সংকট এবং সমাধানে নাগরিক ভাবনা শীর্ষক আয়োজিত সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিরেন গণফোরাম নেতা ও সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান, আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্রমুখ।

বিদেশ বার্তা/এএএ

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: