ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ [email protected] +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩

গাজায় নিহত বেড়ে ৯ হাজার ৭৭০

আল আমিন | প্রকাশিত: ৫ নভেম্বর ২০২৩ ১৯:৩৪

আল আমিন
প্রকাশিত: ৫ নভেম্বর ২০২৩ ১৯:৩৪

ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক: ইসরাইলের বর্বর হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯ হাজার ৭৭০ হয়েছে। এর মধ্যে ৪ হাজার ৮৮০ শিশু রয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য দিয়েছে। গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত আহত হয়েছেন ২৬ হাজার ফিলিস্তিনি। 

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও বলছে, হামাস ইসরাইল সংঘাত শুরুর পর থেকে পশ্চিম তীরে এ পর্যন্ত ১৫২ জনের প্রাণ গেছে। আহত হয়েছে ২ হাজার ১০০ জন। 

অপরদিকে হামাসের হামলায় ১ হাজার ৪০৫ ইসরাইলি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৫ হাজার ৬০০ ইসরাইলি। 

হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪৬ জনে পৌঁছেছে। রোববার ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর প্রকাশিত এক পরিসংখ্যান এ তথ্য দিয়েছে। 

এদিকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামাস-ইসরাইলের তীব্র যুদ্ধের মধ্যে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্তনি ব্লিঙ্কেন। রোববার রামাল্লায় যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ এ কূটনীতিক মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে গাজায় ‘দ্রুত যুদ্ধবিরতি’ এবং ইসরাইলের ‘গণহত্যা’ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট।

হামাসের সঙ্গে ইসরাইলের যুদ্ধ নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো ওই অঞ্চল সফর করছেন ব্লিঙ্কেন। শনিবার আরব বিশ্বের পাঁচ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ব্লিঙ্কেন।

বৈঠকে আরব বিশ্বের মন্ত্রীরা গাজায় অবিলম্বে শর্তহীন যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালেও তা নাকচ করে দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, চলমান যুদ্ধে বিরতি দেওয়া হলে হামাসের সদস্যরা পুনর্গঠিত হয়ে পুনরায় ৭ অক্টোবরের মতো হামলা চালানোর সক্ষমতা অর্জন করতে পারে।

তবে ওই অঞ্চলে সংঘাত যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি হামাসকে পুরোপুরি ধ্বংস করার পর গাজা কিভাবে পরিচালিত হবে সেই বিষয়ে আলোচনা শুরুর চেষ্টা করছেন ব্লিঙ্কেন। আর ইসরাইলও বলেছে, তাদেরও লক্ষ্য একই ধরনের।

রামাল্লায় ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে অ্যান্তনি ব্লিঙ্কেন প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেছেন। কিন্তু বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনও কথা বলেননি তারা; এমনকি আনুষ্ঠানিক বিবৃতিও দেননি। তবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বৈঠকের বিষয়ে বলেছেন, গাজায় জীবনরক্ষাকারী মানবিক সহায়তা প্রদান এবং প্রয়োজনীয় পরিষেবা পুনরায় চালু করার বিষয়ে মার্কিন প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন ব্লিঙ্কেন।

মিলার বলেন, শেষ পর্যন্ত ‘কার্যকর ও পুনর্গঠিত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ’ উপত্যকাকে পরিচালনার জন্য সবচেয়ে অর্থবহ হতে পারে বলে বৈঠকে মাহমুদ আব্বাসকে জানিয়েছেন ব্লিঙ্কেন। তিনি (ব্লিঙ্কেন) বলেছেন, অন্যান্য দেশ ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা গাজার অন্তর্বর্তীকালীন নিরাপত্তা ও শাসনকাজ পরিচালনায় ভূমিকা পালন করবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: