ঢাকা | শনিবার, ৩ মে ২০২৫, ২০ বৈশাখ ১৪৩২ [email protected] +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩

দুর্গত জনগণের শেষ ভরসার স্থান সশস্ত্র বাহিনী: প্রধান উপদেষ্টা

সেলিম সোহেল | প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর ২০২৪ ০১:৫৬

সেলিম সোহেল
প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর ২০২৪ ০১:৫৬

ফাইল ফটো

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে বন্যা, খরা, ঝড়, বৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড়সহ সব প্রাকৃতিক দুর্যোগে সশস্ত্র বাহিনী দুর্গত জনগণের শেষ ভরসার স্থান। বরাবরের মতো এবারো দেশের ক্রান্তিলগ্নে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী জনগণের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

বাণীর শুরুতে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সব সদস্যকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে জীবন উৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীসহ সব বীর শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।’’

তিনি বলেন, ‘‘মুক্তিযুদ্ধের সময় সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর অকুতোভয় সদস্যরা ২১ নভেম্বর সম্মিলিতভাবে দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণের সূচনা করেন। মুক্তিবাহিনী, বিভিন্ন আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা ও দেশপ্রেমিক জনতা এ সমন্বিত আক্রমণে অংশ নেন। হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ১৬ ডিসেম্বর আমরা চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করি। মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি জাতির অগ্রযাত্রা ও বিজয়ের স্মারক হিসেবে প্রতি বছর ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালন করা হয়।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থান এবং বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা, শিল্পকারখানায় নিরাপত্তা প্রদানসহ দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ও অস্ত্র উদ্ধারসহ সব কার্যক্রমে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দেওয়ায় আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমি আশা করি, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি জনগণের সাথে একত্রে কাজ করে যাবে।’’

‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন প্রধান উপদেষ্টা।

এদিকে, বুধবার (২০ নভেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দেশের সব সেনানিবাস, নৌ ঘাঁটি এবং বিমান বাহিনীর ঘাঁটির মসজিদগুলোতে দেশের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি, সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর উন্নতি ও অগ্রগতি এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে ফজরের নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হবে।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: