ঢাকা | শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ [email protected] +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩

মানিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতি দেখবে কে?

বিদেশবার্তা ডেস্ক | প্রকাশিত: ২০ মে ২০২৩ ১৯:৫১

বিদেশবার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০ মে ২০২৩ ১৯:৫১

ছবি সংগৃহীত

বোরহানউদ্দিন, থেকে : ভোলার বোরহানাউদ্দিনের মানিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উপবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাসিক বেতন আদায় করা হচ্ছে। এমনকি এসএসসি ফরম পূরণে শিক্ষা বোর্ড থেকে ২,১৪০ টাকা নির্ধারিত থাকলেও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা হয়েছে ৫,৫০০ টাকা বা তারও অধিক। ইতিমধ্যে যারা এর প্রতিবাদ করেছে তাদের চলমান এসএসসি ব্যবহারিক পরীক্ষায় কম নম্বর দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে।

আরো অভিযোগ রয়েছে নিয়োগের ক্ষেত্রে তারা ১০ লক্ষ টাকার কম ঘুষ নেন না। সম্প্রতি আয়া, নাইটগার্ড ও দপ্তরি নিয়োগে দুর্নীতি ও জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া যায়। যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও নিজেদের লোক নিয়োগ দেয়া হয়। আরো অভিযোগ, কম্পিউটার ল্যাব নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়ার ৬ মাস আগেই একজন প্রার্থীর কাছে থেকে ৮ লাখ টাকা নিয়ে বসে আছেন সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক। কিন্তু চাকরির বিজ্ঞপ্তি এখনও হয়নি।

স্কুলের সভাপতি রাসেল হায়দার ও প্রধান শিক্ষক মো. ফারুকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে বুধবার জেলা প্রশাসকের কাছে বিচার দাবি করে আবেদন করেন মেধাবী শিক্ষার্থীদের অভিভাকরা।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক ই লাহী চৌধুরী জানান, ইতিমধ্যে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দুর্নীতির অসংখ্য অভিযোগ এবং প্রমাণ থাকলেও স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. ফারুক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি নিয়মমাফিক স্কুল চালাচ্ছেন। একজন অভিভাবক তাকে হয়রানি করছেন। এ বিষয়ে জানতে সভাপতির সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

ওই স্কুলের ১০ জন সেরা শিক্ষার্থী গণমাধ্যমকে জানায়, তারা উপবৃত্তি পেলেও তাদের বেতন পরিশোধ করতে হয়। সরকার থেকে উপবৃত্তপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের বিপরীতে টিউশন ফি দিচ্ছে স্কুলে। সেখানে বেতন নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে জানান জেলা শিক্ষা অফিসার একেএম ছালেহ উদ্দিন ও জেলা শিক্ষা অফিসের গবেষণা কর্মকর্তা নুরু ই আমিন সিদ্দিকী।

ওই স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের সেরা শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, উপবৃত্তি পেলেও তাদের কাছ থেকে স্কুলের বেতন নেওয়া হয়। তারা দুই ভাই-বোন এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। ফরম পূরণে ৬ হাজার টাকা নেওয়া হয়।

মানবিক পরীক্ষার্থী জওহুরা তুজ জোহা জানায়, উপবৃত্তি পেয়েছে। তারপরও ফরম পূরণ করেছে ৫ হাজার টাকা দিয়ে। তাদের কোনো রশিদ দেওয়া হয়নি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: