ঢাকা | রবিবার, ৪ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২ [email protected] +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩

সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে মোহাম্মদপুরে যৌথ অভিযান, গ্রেপ্তার ৪৫

আমিরুন রনি | প্রকাশিত: ২৭ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:১৭

আমিরুন রনি
প্রকাশিত: ২৭ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:১৭

সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ অভিযানে মোহাম্মদপুরে গ্রেপ্তার ৪৫ জন। ছবি: আইএসপিআর

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ অভিযানে মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান, চাঁদ উদ্যান ও নবোদয় হাউজিং থেকে ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ এবং কিশোর গ্যাং এর মোট ৪৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর এই তথ্য দিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে জনসাধারণের জানমাল ও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহের সার্বিক নিরাপত্তা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বিচারবহির্ভূত কর্মকাণ্ড রোধ ও বিজ্ঞপ্তিআইএসপিআরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নিরাপত্তাহীনতায় নিমজ্জিত মোহাম্মদপুরবাসীর জীবনে স্বস্তি আনার লক্ষ্যে যৌথ বাহিনীর এই অভিযান সুপরিকল্পিতভাবে পরিচালিত হয়। এতে মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে ৪৫ জন অপরাধী ৯টি দেশীয় ধারালো অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার আনুমানিক রাত ১০টার দিকে মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে সেনাবাহিনীর ৪৬ স্বতন্ত্র ব্রিগেড, র‍্যাব ও পুলিশের সমন্বয়ে এই যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়। এই অভিযানে সেনাবাহিনী, র‍্যাব এবং পুলিশের একাধিক দল অংশগ্রহণ করে।

আইএসপিআরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নিরাপত্তাহীনতায় নিমজ্জিত মোহাম্মদপুরবাসীর জীবনে স্বস্তি আনার লক্ষ্যে যৌথ বাহিনীর এই অভিযান সুপরিকল্পিতভাবে পরিচালিত হয়। এতে মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে ৪৫ জন অপরাধী ৯টি দেশীয় ধারালো অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়।

ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পাওয়ার পর থেকে মোহাম্মদপুর, আদাবর এবং শের-ই-বাংলা নগর থানাধীন ১৫২ জন অপরাধী, ১৮টি আগ্নেয়াস্ত্র, ২৭১ রাউন্ড গোলাবারুদ, ১৭২ ধরনের বিভিন্ন দেশী বিদেশী অস্ত্র, একটি গ্রেনেড এবং বিপুল পরিমাণ নেশাজাত দ্রব্য উদ্ধার হয়, বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

সন্ত্রাস দমন এবং আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে সেনাবাহিনীর কঠোর অবস্থান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে আইএসপিআর বলেছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেপ্তারকৃতদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শনিবার মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে গোলাগুলি ও আহতের ঘটনায় ঢাকার পুরোনো এই এলাকাটিতে নিরাপত্তা নিয়ে বাসিন্দদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়। এর আগে দোকান ডাকাতির ঘটনাটিও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আবাসিক এলাকাগুলোর নিরাপত্তা ও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী।

 

 

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: