
নিজস্ব প্রতিবেদক: কবির আহমেদ ডিপলু, আহ্বায়ক দাগনভুঞা (ফেনী) উপজেলা যুবদল। প্রসঙ্গত সে গত এক যুগের বেশী সময় ধরে দাগনভুঞা উপজেলা যুবদলের ভাইটাল পোস্ট নিয়ে বসে আছে।
টাকার বিনিময়ে পদ কেনা এই ডিপলু কোটি টাকা আয় করেছে পদ বিক্রি করে। এতেকরে দাগনভুঞা উপজেলা যুবদল নেতা-কর্মী শূন্য।
গত পনেরো বছরে যুবদলের কোন দৃশ্যমান সভা সমাবেশ কিংবা দলীয় কর্মসূচি পালন হয়নি। বরঞ্চ এই ডিপলু বিভিন্ন সময় আকবর, হুদন, ফটিকদের মিছিল সভা সমাবেশে গিয়ে ফটোসেশন করেছে।
ডিপলু এবং তার ভাই ফেয়ার আহমেদ ১৯৯৬ এ ছাত্রলীগের কুখ্যাত সন্ত্রাসী। তাদের হামলা গুলি নির্যাতনের চিহ্ন আজও বয়ে বেড়াচ্ছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
অতএব ২০০২ এ বিএনপি ক্ষমতায় আসলে বিএনপিতে এসে উপজেলা ছাত্রদলের ভাইটাল পোস্ট কিনে নেয়। তার নেই কোন কর্মী সমর্থক। অথচ সে এই আওয়ামী লীগ শাসনামলে ও তার ভাই ফেয়ার আহমেদের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি নেতা কর্মীদের উপর গুলি বর্ষণ করে ভয়ভীতি পদর্শণ করে।
তার কারণে কোন বিএনপি নেতা-কর্মী রাজনীতিতে আসতে পারে না। কারণ সে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের দিয়ে ভয়ভীতি পদর্শণ করে।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় বিএনপির বিভিন্ন কর্মীদের জমি দখল, মাটি লুট, এবং পারিবারিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছে তার লীগ নেতা বন্ধুদের সহযোগিতায়। আর কতো জুলুমেরশিকার হবে বিএনপি নেতা-কর্মীরা
ডিপলু পুরো আওয়ামী শাসনামলে নিরাপদে গ্রামের বাড়িতে আসা যাওয়া করেছে। কখনো কোন হামলা আক্রমণের শিকার হয়নি, কারন তার বন্ধু রাজনৈতিক সহযোগীরা সবাই আওয়ামী লীগের নেতা। বরঞ্চ তার এলাকার আওয়ামী লীগের ছেলেরা তাকে ভয় পেতো কারন সে লীগের নেতাদের সাথে ওঠাবসা এবং সুসম্পর্ক।
(সম্প্রতি তার বাড়ির দুই লীগ ব্যবসায়ীকে পুনর্বাসনের অংশ হিসেবে তাদের অর্থে ত্রাণ বিতরণ করছে ডিপলু। অথচ দাগনভুঞা উপজেলার ব্যবসায়ীএবং আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়েছে এই বলে)
দাগনভুঞা উপজেলার আহ্বায়ক দীর্ঘ সময় অথচ গত পনেরো বছরে তার নামে আহামরি কোন মামলা নেই।
এবং কি সে ২০১৮ নির্বাচনের আগের রাতে বিএনপি প্রার্থীর কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে পুলিশের সাথে ১৮ হাজার টাকা চুক্তি করে গ্রেফতার দেখায়।
বর্তমানে সে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী এবং বাজারের ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে কোটি কোটি টাকা চাঁদা আদায় করছে এবং বিএনপি নেতা কর্মীদের হুমকি দামকী ভয়ভীতি পদর্শণ করছে। এবং কি সরকার পরিবর্তনের পর থেকে আজকের দিন পর্যন্ত ছাত্রদল যুবদলের অন্তত দশজন কর্মীকে পিটিয়েছে এরা।
টাকার বিনিময়ে আর কতো কমাটি! কর্মীবান্ধব (হাজার কর্মী আছে যাদের সাথে। এরাই কর্মী তৈরি করে), হুদন, টিংকু, রফিক, নাসির,দুলাল, বাবু , সফন, রাজিব, সোহাগ, হুমায়ূন এদের মতো ত্যাগী তৃণমূল থেকে উঠে আসা নেতারা কেন যুবদল বিএনপির ভাইটাল পোস্ট পাচ্ছে না।
ডিপলু দীর্ঘ দিন যাবত বিভিন্ন মেয়ে/নারীদের ধর্ষণ ব্লাকমেইল করে আসছে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের সাপোর্টে। তাদের এই জঘন্য আকাঙ্ক্ষা থেকে বিএনপির নেতা-কর্মী সমর্থকদের পরিবার গুলোকে করা হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের পরিবর্তন ঘটলে তারা দাগনভুঞা উপজেলার সকল আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। অন্তত দশজন বিএনপি কর্মী সমর্থকদের মারধর করেছে। কয়েক কোটি টাকা চাঁদা আদায় করছে। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী ধর্ষক খুনিদের টাকার বিনিময়ে আশ্রয় ঢাকা পাঠানো এবং গ্রেপ্তার না করতে পুলিশকে হুমকি।)
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: