ঢাকা | শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ [email protected] +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন আলটিমেটাম শুরু সোমবার থেকে

সেলিম সোহেল | প্রকাশিত: ১২ আগস্ট ২০২৪ ০৪:৫৯

সেলিম সোহেল
প্রকাশিত: ১২ আগস্ট ২০২৪ ০৪:৫৯

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন আলটিমেটাম শুরু আগামিকাল থেকে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন মোড় নিয়েছে। ছাত্ররা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সব দপ্তরকে এক সপ্তাহের মধ্যে পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের হাতের নাগালের মধ্যে আনতে আল্টিমেটাম দিয়েছে।

রোববার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এমন আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বাজার পর্যবেক্ষণসহ সচেতনতামূলক কার্যক্রমে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সমন্বয় করতে আন্দোলনের সমন্বয়কদের সাথে মতবিনিময় করেন।

আতিয়া সুলতানার তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত বৈঠকে পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, পরিচালক (অপারেশন্স অ্যান্ড রিসার্চ) ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন, কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মিজানুর রহমানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে বলা হয় যে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পণ্যের দাম জনগণের ক্রয়সীমার মধ্যে আনতে সংশ্লিষ্টদের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। অন্যথায় বাজার ব্যবস্থাপনায় জড়িতদের পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক বিন ইয়ামিন মোল্লা।

মতবিনিময় সভায় ভোক্তার ডিজি এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, বিভিন্ন করপোরেট গ্রুপ বাজার সিন্ডিকেটের মূল হোতা। আমরা যেখানেই হাত দিচ্ছি, সেখানেই অনিয়ম পাওয়া যাচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেকের সামনে মিডিয়া-ক্যামেরা নিয়ে গেলেও অনেক অনিয়ম বন্ধ করতে পারিনি। আমরা তোমাদের মাধ্যমে চাপ সৃষ্টি করতে চাই।

সভায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক বিন ইয়ামিন মোল্লা বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৯টি সুপারিশ করেন। সুপারিশগুলো হলো বিপ্লবী ছাত্রদের একটি দল দ্বারা প্রতিটি শহর, জেলা ও উপজেলায় বাজার পর্যবেক্ষণ করা। কিন্তু তারা কাউকে জরিমানা করে আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারে না; ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা; সমস্ত দোকানে মূল্য তালিকা আটকানো; প্রতিটি বিক্রেতার নিয়মিত ক্রয়ের জন্য রসিদ রাখা; কেউ বাজার, রাস্তা বা দোকান দখল করে ব্যবসা করলে তাকে উপড়ে ফেলুন; সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ এবং ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জনবল বৃদ্ধির পাশাপাশি দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতি দমন করা।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: