
নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশিদের জন্য সাগরে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ভারত ও মিয়ানমারের জেলেরা। এদিকে কর্মহীন হয়ে আছে বাংলাদেশের মৎস্যজীবীরা। কর্মহীন জেলে পরিবারগুলোতে চলছে হাহাকার। এদিকে একের পর এক নিষেধাজ্ঞায় দিশেহারা জেলেরা।
সমুদ্রে মাছ শিকারের ওপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলছে। তাই ঘাটে বসে আছেন জেলেরা। কিন্তু বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার করছেন পার্শ্ববর্তী দেশের জেলেরা।
জেলেদের অভিযোগ, প্রতিবারই বাংলাদেশে নিষেধাজ্ঞার সুযোগে সমুদ্র দাপিয়ে বেড়ায় ভারত ও মিয়ানমারের জেলেরা। মাছ ধরা বন্ধ থাকায় কর্মহীন বাংলাদেশি জেলেরা খেয়ে না খেয়ে দিন পার করলেও সমুদ্র থেকে মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছেন অন্যরা। তাই শুরু থেকেই এ নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করে আসছেন জেলে ও মৎস্যজীবীরা। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, একই সাগরে দুই নিয়ম চলতে পারে না।
পার্শ্ববর্তী অন্য দেশের জেলেরা মাছ ধরায়, বঙ্গোপসাগর জালমুক্ত থাকছে না। তাই এই নিষেধাজ্ঞার উপকারিতা দেখছেন না তারা। পবিপ্রবির মৎস্য জীববিজ্ঞান এবং জেনেটিক্স বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আরিফুল আলম বলেন, সামুদ্রিক মাছের নিরাপদ প্রজননের জন্য সমুদ্র জালমুক্ত রাখতে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা নির্ধারণের পরামর্শ দিয়ে আসছি আমরা। এ ছাড়াও সামুদ্রিক মাছের প্রজননের সঠিক সময় চিহ্নিত করতে নতুন করে গবেষণা করা দরকার বলেও মনে করেন তিনি। কিন্তু পার্শ্ববর্তী দেশের জেলেরা তো মাছ শিকার করে নিয়ে যাচ্ছে তা তো কেউ ঠেকাতে পারছে না। তাহলে এ অবরোধ দিয়ে কি লাভ হলো। বরং নিজেদের দেশের ক্ষতি হচ্ছে। কত জেলে না খেয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: