
নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সরকার কয়েক মাস ধরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জীবিকা, চলাচল এবং শিক্ষার ওপর বিধিনিষেধ আরো জোরদার করেছে।
সোমবার (৪ মার্চ) নিউইয়র্ক থেকে এক বিবৃতিতে এ ধরনের বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকারি কর্তৃপক্ষ নির্বিচারে হাজার হাজার দোকান ধ্বংস করেছে এবং কক্সবাজারে ক্যাম্পের মধ্যে যাতায়াতের ক্ষেত্রে নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, রোহিঙ্গাদের স্বাধীন ও স্বাধীনভাবে বসবাসের ক্ষমতাকে অস্বীকার করেছে। বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের উচিত নতুন বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা। বাজার ও স্কুল পুনরায় খোলার অনুমতি দেওয়া এবং শরণার্থীদের জীবিকা, স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষায় প্রবেশাধিকার উন্নত করার জন্য দাতাদের প্রচেষ্টাকে সহজতর করা।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলী বলেন, বাংলাদেশ প্রায় দশ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বোঝা বইছে। কিন্তু তাদের কাজ এবং পড়াশোনার সুযোগ থেকে বাদ দেওয়া তাদের দুর্বলতা এবং সাহায্যের ওপর নির্ভরশীলতাকে বাড়িয়ে তুলছে। বাংলাদেশ সরকারের উচিত রোহিঙ্গাদের আত্মনির্ভরশীলতা বাড়াতে এবং তাদের পরিবার ও সম্প্রদায়কে সমর্থন করতে সক্ষম করার জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানায়, গত দুই মাসে ১৩ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে কথা বলেছে তারা। তারা জানিয়েছে কীভাবে নতুন বিধিনিষেধ তাদের পরিবার, তাদের সন্তানদের শিক্ষায় বাধা সৃষ্টি করছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের কর্মকর্তারা উদ্বাস্তুদের ভাসানচর দ্বীপে স্থানান্তর বা মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার জন্য চাপ দিয়েছেন।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, শিবিরের ক্রমবর্ধমান অবস্থা উদ্বেগ বাড়ায়। কর্তৃপক্ষ রোহিঙ্গাদের চলে যেতে বাধ্য করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে এসব কাজ করছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: