ঢাকা | বুধবার, ৭ মে ২০২৫, ২৪ বৈশাখ ১৪৩২ [email protected] +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩

সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরকে তালাক দিলেন স্ত্রী জয়া

মো: মনিরুল ইসলাম | প্রকাশিত: ১৬ মে ২০২৩ ০০:৪৩

মো: মনিরুল ইসলাম
প্রকাশিত: ১৬ মে ২০২৩ ০০:৪৩

ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী কাজী রাজিয়া সুলতানা জয়ী তাঁকে তালাকের নোটিশ পাঠিয়েছেন। তালাকের নোটিশপত্রটি বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুকে) ব্যাপক ঘোরপাক খাচ্ছে (ভাইরাল)।

নোটিশে যা লেখা রয়েছে, ১৯৬১ইং সালের মুসলিম পারিবারিক আইন ৮-নং- অধ্যাদেশ, ৫২-নং আইনের ধারা মতে স্ত্রী কর্তৃক তালাক গ্রহণের নোটিশ।

নোটিশ সূত্রে জানায়, আমি নিন্ম স্বাক্ষরকারিনী কাজী রাজিয়া সুলতানা জয়া, পিতা কাজী ইকবাল বাহার, মাতা-মিসেস ফরিদা ইকবাল, সাং-বাসা নং-১ রোড-৫, বøক জি,মিরপুর শাহ আলী ঢাকা।

২০১১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারিতে গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর সদর থানার কানাইয়া গ্রামের আলহাব্জ মিজানুর রহমান ও বর্তমান গাসিক নির্বাচনের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মোছাঃ জায়েদা খাতুনের ছেলে মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (সাবেক বহিস্কৃত মেয়র) এর সহিত বিবাহ হয়।

বিবাহের পর থেকেই আমাকে (রাজিয়া সুলতানা জয়াকে) মানসিক নির্যাতন ও অত্যাচার করায় নিয়মিত ভরণপোষন না দেওয়ায় সংসার জীবনে অশান্তি বিরাজ করছিল।

যাহা নিকাহ নামার ১৮-নং কালামের পরিপন্থী। তাই গেল ৩০-এপ্রিল আমি রাজিয়া সুলতানা জয়া নি¤œ স্বাক্ষরকারিনী সেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে, সুস্থ মস্তিস্কে অন্যের বিনা প্ররোচনায় নিকাহ নামার ১৮-নং কালামের প্রাপ্ত ক্ষমতা বলে তালাকে তাফউজ গ্রহণ করার মনস্থ করে আপনাকে (জাহাঙ্গীর আলমকে) নোটিশ প্রদান করিলাম।

১৯৬১ইং সালের মুসলিম পারিবারিক আইন ৮-নং অধ্যাদেশ, ৫২-নং আইনের ৭(১) ধারা মতে আপনাকে উক্ত মর্মে অবহিত করানো হইল। যথা সময়ে আমাদের উভয়ের মাঝে পরিস্থিতির উন্নতি না হইলে ৯০ দিন পর চুড়ান্ত ভাবে তালাক কার্যকর হবে।

একটি সূত্রে জানায়, বিবাহের পর থেকেই জাহাঙ্গীর আলম নানা ভাবে তাঁর স্ত্রীকে জ্বালাযন্ত্রণা করে আসছিল। নিয়মিত স্ত্রীকে সময় দিতো না সে। ফলে দীর্ঘদিন স্ত্রী জয়া স্বামী ছেড়ে মিরপুর বাবার বাসায় থাকতেন। এছাড়াও একাধিক নারীর সঙ্গে অবৈধভবে সম্পর্ক ছিল সাবেক ওই বহিস্কৃত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে।

জানা গেছে, এক নারী শিক্ষিকাকে তাঁর ব্যক্তিগত লোক দ্বারা কুপ্রস্তাব দেয়া হয়। পরে ওই নারী তাঁর কুপ্রস্তাবে রাজি না হলে তাঁকে বিভিন্নভাবে হুমকী দেয়া হতো। এ নিয়ে ওই নারী শিক্ষিকা জাহাঙ্গী আলমের মধ্যকার আলাপও ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

মিরপুর কাজী অফিস বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, মির শাহ আলী কাজী অফিস থেকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছে, তবে কোন ভাবেই পাওয়া যায়নি মা জায়েদা খাতুনের নির্বাচন নিয়ে সে ব্যস্তা।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: