ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ [email protected] +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩

বিপিএলে শেষ হাসি কার?

বিদেশ বার্তা | প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২২:৪৫

বিদেশ বার্তা
প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২২:৪৫

বিপিএল ফানাল ট্রপি

 

বিপিএল বিদায়ের সুর বেজছে। আজ ফাইনাল।
সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশালের প্রথম, না ইমরুল কায়েসের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের তৃতীয়? কে হাসবে শেষ হাসি। উৎসব মঞ্চে ওঠার লড়াইয়ের আগে বরিশাল অধিনায়ক সাকিবকে নিয়ে দুশ্চিন্তা। পেটের পীড়ায় ভুগছেন তিনি। বৃহস্পতিবার ট্রফি নিয়ে দুই অধিনায়কের ফটোসেশনে দেখা গেল না সাকিবকে।
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফাইনাল শুরু হবে বিকাল ৫টা ৩০ মিনিটে।
বিপিএলে ছন্দে আছেন সাকিব। দলে আরও তারকা খেলোয়াড় থাকলেও আলো তার দিকেই। টানা পাঁচ ম্যাচে সেরা হয়ে টি ২০তে রেকর্ড গড়েছেন তিনি।
নুরুল হাসান বলেন, ‘টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তের কারণে আমি এসেছি ফটোসেশনে। আশা করি, কাল (আজ) সাকিব ভাই খেলবেন।’ টুর্নামেন্টের সেরার দৌড়ে এগিয়ে এই বাঁ-হাতি অলরাউন্ডার। ফাইনালেও বরিশালের আস্থা সাকিবে।
ফাইনালের আগে জ্বলে উঠেছেন দুদলের বিদেশি তারকারা। তবে বরিশালের ক্রিস গেইল, মুজিব উর রেহমান, ডুয়ানে ব্রাভোর চেয়ে কুমিল্লার ফাফ ডু প্লেসি, মঈন আলী ও সুনীল নারিনদের বিধ্বংসী দেখাচ্ছে। টুর্নামেন্টে তিনবার মুখোমুখিতে বরিশালের দুটি ও কুমিল্লার একটি জয়। প্রথম লড়াইয়ে কুমিল্লা ৬৩ রানে জেতে। পরেরবার বরিশাল জেতে ৩২ রানে। কোয়ালিফায়ারে হয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বিতা। ওই ম্যাচে ১৪৩ করেও বরিশাল ১০ রানে জিতে ফাইনাল নিশ্চিত করে। তবে হেরেও যেন ভালো হলো কুমিল্লার। সুনীল নারিনের বিধ্বংসী ইনিংসে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে উড়িয়ে দিয়েছে তারা। ওপেনিংয়ে সুযোগ পেয়ে নারিন দেখিয়েছেন নিজের দিনে তিনি কী করতে পারেন।
মাত্র ১৩ বলে ফিফটি করে বিপিএলে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন। মঈন আলী ও ডু প্লেসি সেরা ছন্দে। ওপেনার লিটন দাস ও মাহমুদুল হাসান জ্বলে উঠলে কুমিল্লার তৃতীয় শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে বেগ পেতে হবে না।
ট্রফি এবার বরিশালে নিয়ে যেতে চান সাকিব। মাত্র একটি জয় থেকে দূরে তারা। তাদের বোলিং লাইনআপ চমৎকার। তরুণ ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার বরিশালকে ভালো শুরু এনে দিচ্ছেন। পুরো আসরে নিষ্প্রভ ক্রিস গেইলকে আজ নিশ্চয় ঘুম থেকে জেগে ওঠার অনুরোধ করবেন ভক্তরা। তার ঘুম ভাঙলে যে প্রতিপক্ষের ঘুম হারাম হয়ে যায়! নুরুল হাসান বলেন, ‘আমরা ছন্দে আছি। একটানা অনেক ম্যাচ জিতেছি। শেষটা ভালো করতে পারলে হয়।’
এদিকে অধিনায়ক ইমরুল কায়েস বলেন, ‘কুমিল্লা দুবার ফাইনাল খেলেছে এবং চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এবারও আমরা একই প্রক্রিয়ায় যাব। প্রথম কোয়ালিফায়ার হেরে আমরা হতাশায় ছিলাম। যেভাবে কামব্যাক করেছি, আমাদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেছে। আমরা ইতিবাচক আছি।’
অনুশীলনে দুদলের ব্যাটাররাই বড় শট খেলার চেষ্টা করেছেন। তবে ফাইনাল ম্যাচ যে অভিজ্ঞতারও খেলা, সেটা দুদলের কোচ খালেদ মাহমুদ ও মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের মাথায় ঠিকই ঘুরপাক খাচ্ছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: