ঢাকা | বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২ [email protected] +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩

নওগাঁর ‘পদ্মা-সেতু’কে কিনতে হলে লাগবে ২৫ লাখ

মো: মনিরুল ইসলাম | প্রকাশিত: ৬ জুলাই ২০২২ ২০:০৬

মো: মনিরুল ইসলাম
প্রকাশিত: ৬ জুলাই ২০২২ ২০:০৬

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক : আর কদিন পরেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব কোরবানির ইদ। প্রতি বছর কোরবানির ঈদের আগে ওজন এবং দামে আলোচনায় উঠে আসে বাহারি নামের গরু। এবার সেই তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে নওগাঁর ‘পদ্মা-সেতু’ নামে দুটি বিশাল আকৃতির ষাঁড় গরু।

জেলার বদলগাছী উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের দরিয়াপুর গ্রামের মামুনুর রশিদ লিটন গরু দুটির মালিক। আসন্ন পবিত্র ইদুল আজহা উপলক্ষে এই ষাঁড় দুটি গরুকে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন। গরু দুটির মধ্যে কালচে রঙের ‘পদ্মার’ ওজন ৩৩মণ ও লালচে রঙের ‘সেতুর’ ওজন ৩০ মণ। ষাঁড় দুটির দাম চাওয়া হচ্ছে ২৫লাখ টাকা। এরই মধ্যে অনেকেই গরু দুটি কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। দূর-দূরান্ত থেকে ‘পদ্মা-সেতু’ কে কিনতে আসছেন ক্রেতারা। করছেন দাম-দরও। পরিবারের ছোট শিশুরা গরু দুটিকে ভূতু আর জিঁজিঁ বলে ডাকতো। সম্প্রতি পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী শখ করে গরু দুটির নাম রেখেছেন ‘পদ্মা-সেতু’।

গরুর মালিক মামুনুর রশিদ লিটন বলেন, সখের বসে দুই বছর ৪ মাস আগে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি হাট থেকে ৬মাস বয়সের কালো রঙের ষাঁড় ৬০ হাজার টাকা এবং লাল রঙের ষাঁড় ৬৫ হাজার টাকায় কিনে। এরপর বাড়িতে নিজ সন্তানের মতো করে ষাঁড় দুটিকে যত্ন সহকারে লালন-পালন শুরু করেন লিটন। শখের গরুটি যত্ন সহকারে লালন-পালন করছেন। কাচা ঘাস, বিচিকলা, গম, ধান, ভুট্টা, মাসকালাই, খেসারি কালাই, মশুর ডাল ভূসি দিয়ে নিজেই ব্যান্ড তৈরী করে খাওয়ান। মোটা-তাজাকরণের কোনো ওষুধ প্রয়োগ করা হয়নি। প্রতিদিন ‘পদ্মা-সেতুর’ জন্য ১৫শ টাকা খরচ হয় লিটনের। কেনার পর থেকে এখন পর্যন্ত ২ বছর ৪ মাসে ‘পদ্মা-সেতুর’ পেছনে সব মিলে খরচ হয়েছে প্রায় ৮-৯ লাখ টাকা।

লিটন আরো বলেন, পদ্মার ওজন হবে ১৩শ কেজি আর সেতুর ওজন হবে ১২শ কেজি হবে। ষাঁড় দুটির দাম হেঁকেছেন ২৫ লাখ টাকা। কিন্তু এখন পর্যন্ত গরু দুটির দাম উঠেছে ১৮ লাখ টাকা। মন মতো দাম পেলে বাড়ি থেকেই বিক্রি করব। আর যদি ভালো দাম না পাই তবে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে বিক্রি করবেন বলে জানান লিটন।

জেলা প্রাণীসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ‘ইদুল আযহাকে সামনে রেখে নওগাঁ জেলায় খামারি ও ব্যক্তি পর্যায়ে ৪লাখ ৩৩ হাজার গবাদিপশু প্রস্তুত রয়েছে। এসব পশুর মধ্যে রয়েছে ষাঁড়, বলদ, গাভি (বাচ্চা উৎপাদনে অক্ষম) মহিষ ও ছাগল। এর মধ্যে শুধু গরুই ৬৭হাজার। জেলায় প্রায় ২৫হাজারের মতো খামার রয়েছে। গত বছর ২লাখ ২৫ হাজার কোরবানি হয়েছিল। এবারে জেলায় প্রায় ৩ লাখের বেশি কোরবানি হবে বলে ধারণা ধারনা করা হচ্ছে। জেলায় কোরবানির জন্য পশুর সংকট হবে না। চাহিদার তুলনায় জেলার খামারগুলোতে পশু বেশি থাকায় এবার অন্য কোথাও থেকে পশু আনার প্রয়োজন নেই।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: