ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ১ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ [email protected] +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩

আমরা চাই সকল দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন: হানিফ

আল আমিন | প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৫:৪০

আল আমিন
প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৫:৪০

ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক : দেশের সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা নষ্ট করার জন্য কেউ কোনো অশুভ তৎপরতা করলে অতীতের মতো ভবিষ্যতেও তা নস্যাৎ করে দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।

তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসবে কি আসবে না বা নির্বাচনে তারা অংশ নিবে কি-না এটা তাদের ব্যাপার। আমরা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিতে চাই, এদেশের জনগণ শান্তি চায়, উন্নয়ন-অগ্রগতি চায়। এ দেশের জনগণ সংবিধানের ধারাবাহিকতা দেখতে চায়।

এই দেশে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা নষ্ট করার জন্য যে কোনো অশুভ তৎপরতা অতীতে যেমন জনগণ নস্যাৎ করে দিয়েছে; ভবিষ্যতেও নস্যাৎ করে দিবে।  

মঙ্গলবার ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের আওয়ামী লীগের যৌথসভা শেষে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।  

হানিফ বলেন, আমরা চাই সকল দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন। আমরা আশা করি বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিক।

যদি কেউ নির্বাচনে অংশ না নেয়; তাহলে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার অধিকার তাদের আছে। কিন্তু আন্দোলনের নাম করে যদি কেউ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে চায় সেটা জনগণ এবং সরকার কঠোর হস্তে দমন করবে।

চলতি মাসে ঢাকায় বিএনপির ৮টি সমাবেশ কর্মসূচি রয়েছে। আওয়ামী লীগ পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, আমরা আগেও বলেছি, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আমাদের ধারাবাহিক কর্মসূচি থাকবে।

আমাদের প্রতিটি কর্মসূচি জাতীয় সংসদ নির্বাচনকেন্দ্রিক। এসব কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের সাথে জনগণের সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধি করা, জনগণের আস্থা বৃদ্ধি করা আমাদের লক্ষ্য।

দেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি সরকারের ব্যর্থতা কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেকবার বলেছেন, ২০২০ সাল থেকে সারা বিশ্বে করোনা মহামারির দুর্যোগ গেছে। এর পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দুই বছর সবমিলিয়ে টানা চারটা বছর সারা পৃথিবী দুর্যোগের সময়কাল পার করছে।

সারা বিশ্বের অর্থনীতিতে মন্দা। বিশ্বের অনেক দেশে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে, বাংলাদেশও কিছুটা দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। দাম বাড়ায় মানুষ হয়তো কষ্ট পাচ্ছে। আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন সাধারণ মানুষের দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার জন্য এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ থেকে আন্তরিকভাবে কাজ করা হচ্ছে।
 
রাজধানীতে তৃণমূল বিএনপির প্রথম সম্মেলন ঘিরে আওয়ামী লীগের মনোভাব জানতে চাইলে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক দল, জনগণের দল। এই দেশের প্রত্যেকটা জনগণের রাজনীতি করার অধিকার আছে। গণতান্ত্রিক পরিবেশ আছে বলেই জনগণ, যে কোনো রাজনৈতিক দল তার কর্মসূচি পালন করতে পারছে। আওয়ামী লীগের কিছু করার বা বলার নেই।

বিদেশ বার্তা / এএএ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: