ঢাকা | শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ [email protected] +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩

ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করতে ইসির নির্দেশ

মো: মনিরুল ইসলাম | প্রকাশিত: ১ আগস্ট ২০২৩ ১৮:৩৮

মো: মনিরুল ইসলাম
প্রকাশিত: ১ আগস্ট ২০২৩ ১৮:৩৮

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র স্থাপনের জন্য তালিকা প্রণয়নে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের খসড়া ভোটকেন্দ্র তালিকা চুড়ান্তকরণ করার জন্য ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এবং ভোটকেন্দ্রের চুড়ান্ত তালিকা ইসি সচিবালয়ে ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পাঠাতে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব রৌশন আরা বেগম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, বিধি অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার আগেই ভোটকেন্দ্রের তালিকা চুড়ান্ত করতে হয়। হিসাব-নিকাশ করলে প্রায় ৯০ দিনের মতো সময় পাবো আমরা। তাই হাতে সময় রেখে আমরা ভোটকেন্দ্র স্থাপনের কাজ শেষ করতে চাই। এজন্য এখন থেকেই ভোটকেন্দ্র স্থাপনের কার্যক্রম হাতে নেওয়া।

ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনায় দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের। আর অনুলিপি দেওয়া হয়েছে সকল জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও)।

জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের আহ্বায়ক করে মাঠ পর্যায়ে ভোটকেন্দ্র স্থাপন কমিটি করা হয়েছে।

সময় বেঁধে দিয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের পাঠানো এ সংক্রান্ত নির্দেশনায় বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট কমিটিকে নিয়ে ভোটকেন্দ্রে তালিকা করতে।এতে খসড়া ভোটা কেন্দ্রের তালিকা প্রকাশের জন্য ১৬ আগস্ট, সেই তালিকার ওপর দাবি-আপত্তি নেওয়ার শেষ সময় ৩১ আগস্ট, দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তির শেষ সময় ১১ সেপ্টেম্বর ও খসড়া ভোটকেন্দ্র তালিকা চুড়ান্তকরণ করার জন্য ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়ে দেওয়া ভোটকেন্দ্রের চুড়ান্ত তালিকা ইসি সচিবালয়ে ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পাঠাতে বলেছে নির্বাচন আয়োজনকারী সাংবিধানিক সংস্থাটি।

সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র স্থাপনের যে নীতিমালা করেছে সেখানে জেলা পর্যায়ে ডিসিকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। এতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন বিভাগীয় কমিশনারের প্রতিনিধি, পুলিশ সুপার, মেট্রোপলিট্রন পুলিশ কমিশনারের প্রতিনিধি, জেলা শিক্ষা অফিসার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার। আর সদস্য সচিব করা হয়েছে সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা অথবা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে।অন্যদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রধান করে উপজেলা পর্যায়ে করা হয়েছে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি। এতে সদস্য হিসেবে রয়েছে উপজেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও অফিসার ইন চার্জ। আর সদস্য সচিব করা হয়েছে উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাকে।

এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছিলেন , আমরা রোডম্যাপে বলে দিয়েছি নির্বাচন হবে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে।এক্ষেত্রে অক্টোবরের আগে তফসিল ঘোষণা সম্ভব হবে না। তফসিল ঘোষণার বিষয়ে আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি।এটা কমিশন বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত হবে। এক্ষেত্রে সময় হলেই তফসিল দেওয়া হবে।

নীতিমালা অনুযায়ী যে স্থানে ভোট কেন্দ্র করা যাবে আর যে স্থানে করা যাবে না- যাতযাতের সুবিধা, ভবনের আয়ুস্কাল, ভোটার বৃদ্ধি, সরকারি ভবনকে প্রাধান্য দেওয়া, প্রভাবাধীন বা উন্মুক্ত নয় এমন স্থানে ভোটকেন্দ্র না করা, রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিবর্গের নামে স্থাপিত প্রতিষ্ঠানে ভোটকেন্দ্র না করা, শারীরিকভাবে পিছিয়ে পড়াদের কথা বিবেচনায় নিয়ে ভোটগ্রহণ স্থাপন প্রভৃতি বিষয় আমলে নিতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো ব্যত্যয় হলে যে কোনো ভোটার দাবি-আপত্তি জানাতে পারবে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ভোটার ছিল ১০ কোটি ৪২ লাখ। সে সময় সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪০ হাজার ৬৫৭টি। এর মধ্যে যাচাই বাছাই শেষে ৪০ হাজার ১৯৯টি কেন্দ্র চুড়ান্ত করা হয়।বর্তমানে দেশে ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯০ লাখ ৬১ হাজার ১৫৮। এক্ষেত্রে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কেন্দ্র আরো বাড়বে পারে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: