
বিদেশবার্তা ডেস্ক : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চান, তাতে সাহায্য করতেই তারা (যুক্তরাষ্ট্র) এ ভিসা নীতি করেছে।রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
শনিবার (২৭ মে) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা স্বচ্ছ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করব। এর জন্য যা যা করা দরকার, সেই পরিস্থিতি তৈরি করেছি। সেখানে কেউ যদি সাহায্য করে ভালো, না হলেও আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ (সুষ্ঠু নির্বাচন করতে)।তিনি বলেন,‘আমরা চাইব এই ভিসা নীতির আওতায় জ্বালাও-পোড়াও বন্ধ কর। আমরা আর জ্বালাও-পোড়াও চাই না। জ্বালাও-পোড়াও যারা করে, তাদের সতর্ক হওয়া উচিত। তাদের লিডারদের সতর্ক হওয়া উচিত।’
মোমেন বলেন,‘এই দেশে যারা ভোটারবিহীনভাবে নির্বাচিত হয়েছে, তাদের দু-তিন মাসের মধ্যে জনগণ ফেলে দিয়েছে। জনগণের রায়ে নির্বাচিত সরকার না হলে টিকতে পারবে না। আমরা জনগণের ওপর বিশ্বাস করি, জনগণের জন্য কাজ করি, আমাদের অন্য কোনো স্বার্থ নেই। মানুষের যদি মঙ্গল করে থাকি, তাহলে নিশ্চয়ই তারা আমাদের সাহায্য করবে।’
এর আগে বুধবার (২৩ মে) রাতে এক টুইটবার্তায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বাংলাদেশের বিষয়ে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেন।ব্লিঙ্কেন বলেন, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অভিবাসন ও জাতীয়তা আইনের ধারায় একটি নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করছি। এ নীতির অধীন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য যারা দায়ী বা জড়িত থাকবে, সেসব বাংলাদেশির ভিসা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
এর আওতায় বর্তমান ও সাবেক বাংলাদেশি কর্মকর্তা, সরকার সমর্থক ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা পরিষেবার সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গত ৩ মে বাংলাদেশ সরকারকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানায় বলেও ব্লিঙ্কেন উল্লেখ করেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: