ঢাকা | মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২ [email protected] +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩

ওষুধের কৃত্রিম সংকট তৈরি করলে ১৪ বছরের জেল

আল আমিন | প্রকাশিত: ৭ এপ্রিল ২০২৩ ০৩:৫১

আল আমিন
প্রকাশিত: ৭ এপ্রিল ২০২৩ ০৩:৫১

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:  ওষুধের কৃত্রিম সংকট তৈরি ও বেশি মুনাফার লোভে মজুত করলে ১৪ বছরের জেল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে ঔষধ ও কসমেটিক্স বিল ২০২৩ সংশোধনীর জন্য সংসদে তোলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের অনুপস্থিতিতে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বিলটি সংসদে তোলেন। পরে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।

প্রস্তাবিত বিলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের দায়িত্ব ও কর্মপরিধি সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। মানহীন ও নকল কসমেটিক পণ্য আটকাতে যুক্ত করা হয়েছে এ ব্যবসার জন্য ঔষধ প্রশাসন থেকে লাইসেন্স নেওয়ার বিধান।

এতে বলা হয়েছে, কসমেটিক পণ্য বিক্রি, আমদানি ও উৎপাদন করতে হলে লাইসেন্স নিতে হবে। এখন যারা কসমেটিক ব্যবসা বা উৎপাদন করছেন তাদের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য। লাইসেন্স কর্তৃপক্ষ হিসেবে কাজ করবে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

এছাড়া বিলে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করলে ২০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

১৯৪০ সালের ড্রাগস অ্যাক্ট ও ১৯৮২ সালের ড্রাগস কন্ট্রোল অ্যাক্টকে যুগোপযোগী করে এই বিল আনা হয়েছে। সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের মাধ্যমে ওষুধের নিরাপত্তা, কার্যকারিতা, নতুন ওষুধ ও টিকা তৈরির বিষয়টি। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধ বিক্রি ও ব্যবহার বন্ধ রাখা এবং এটিকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবেও উল্লেখ করা হয়েছে। মেডিকেল ডিভাইসকে আখ্যায়িত করা হয়েছে ওষুধ হিসেবে। কিছু ওষুধের দাম সরকার নির্ধারণ করে দেবে বলেও উল্লেখ আছে বিলে।


বিদেশ বার্তা/ এএএ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: