ঢাকা | রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ [email protected] +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩

তারেক রহমানের বাড়ির দরজায় টানানো হলো হাইকোর্টের নোটিশ

মো: মনিরুল ইসলাম | প্রকাশিত: ২২ আগস্ট ২০২৩ ১৬:১৪

মো: মনিরুল ইসলাম
প্রকাশিত: ২২ আগস্ট ২০২৩ ১৬:১৪

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে গুলশানের ঠিকানায় না পেয়ে বাড়ির দরজায় সাঁটানো হয়েছে হাইকোর্টের নোটিশ।

বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে জানানো হয়, ওই ঠিকানায় পাওয়া যায়নি তারেক রহমানকে। আর তাই নোটিশ লটকানো হয়েছে বাসার সামনে। তবে এ নিয়ে কেউই সাক্ষর দিতে রাজি না হওয়ায় ফিরে এসেছেন হাইকোর্টের সেই কর্মকর্তা।

এদিকে গেলো ১৮ আগস্ট হাইকোর্টের নির্দেশে দৈনিক ভোরের কাগজে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার সংক্রান্ত রুলের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। গত ১৩ আগস্ট গণমাধ্যম, ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটারসহ সব মাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার বন্ধের বিষয়ে করা রুলের নোটিশ তার লন্ডনের ঠিকানায় পাঠানোর নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এছাড়া পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করার নির্দেশনা দেয়া হয়।

এর আগে ৮ আগস্ট সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামসহ আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা অনলাইনসহ সব গণমাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞার রুল শুনানির জন্য দিন ঠিক করতে হাইকোর্টে আবেদন করেন। সেসময় বিচারপতি. মো. খসরুজ্জামান জানতে চান, তারেক রহমানকে নোটিশ দেওয়া হয়নি, তাহলে কীভাবে শুনানি হবে। তখন রিটকারি আইনজীবী কামরুল ইসলাম উত্তরে বলেন, উনাকে কোনও ঠিকানায় পাওয়া যায়নি। তবে এর তীব্র বিরোধিতা করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।

পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ আগস্ট তারেক রহমানের লন্ডনের ঠিকানা সংশোধন করে নতুন আবেদন আনতে বললেন হাইকোর্ট। এ সংশ্লিষ্ট আবেদন নতুন করে জমা দেয়ার পর আদালত ওই নির্দেশ দেন।

প্রসঙ্গত, আইনের দৃষ্টিতে পলাতক থাকায় তারেক রহমানের কোনও বক্তব্য কিংবা বিবৃতি গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ নিষিদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে তার বক্তব্য প্রকাশ ও প্রচার বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়। ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি ওই রুল জারি হলেও তা নিষ্পত্তি হয়নি। সম্প্রতি তারেক রহমানের বক্তব্য বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার হলে বিষয়টি আবার আলোচনায় আসে। এরপর রুল শুনানি করতে আবেদন করা হয় হাইকোর্টে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: