
বিদেশবার্তা ডেস্ক : আন্তঃব্যাংক লেনদেনে ডলারের দাম বেড়েই চলেছে। বর্তমানে তা ১০৮ টাকা ৭৫ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে। দেশের ইতিহাসে যা রেকর্ড। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এতে দেখা যায়, গত মঙ্গলবার নিজেদের মধ্যে প্রতি ডলার ১০৮ টাকা ৭৫ পয়সায় লেনদেন করেছে ব্যাংকগুলো। গত বছর যা ছিল ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা। সে হিসাবে আন্তঃব্যাংক ১ বছরের ব্যবধানে ডলারপ্রতি টাকার মূল্য কমেছে ২৪ দশমিক ২৮ শতাংশ বা ২১ টাকা ৫০ পয়সা।
চলতি মাসে প্রায় প্রত্যেক কার্যদিবসেই ডলারের বিনিময় হার বেড়েছে। গত ১ মে এক ডলারের দর ছিল ১০৬ টাকা ৮০ পয়সা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) ৫ হাজার ৩৯৩ কোটি ৮০ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে। অন্যদিকে, রপ্তানি হয়েছে ৩ হাজার ৯৩২ কোটি ৫০ লাখ ডলারের। এতে ১ হাজার ৪৬১ কোটি ৩০ লাখ (১৪ দশমিক ৬১ বিলিয়ন) ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
এদিকে, গত এপ্রিলে ১৬৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। আগের বছরের একই মাসের তুলনায় যা ১৬.২৭ শতাংশ কম। সেই সঙ্গে এপ্রিলে রপ্তানি আয় কমেছে ১৬ শতাংশ।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির শেষদিকে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া।এতে পরের মাসে দেশে ডলার সংকট দেখা দেয়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় মুদ্রাটির দাম বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে তাতে সংকট আরও বেড়ে যায়।
পরে ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব এবিবি ও বাফেদার ওপর ছেড়ে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।সেই থেকে প্রবাসী আয়, রপ্তানি ও আমদানি দায় পরিশোধে মার্কিন মুদ্রার দর নির্ধারণ করছে তারা।
সবশেষ চলতি মাসে ডলারের দাম ১ টাকা বাড়ায় এ দুই সংগঠন। ফলে এখন বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠালে প্রতি ডলারে ১০৮ টাকা পাচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। সেই সঙ্গে সরকারের আড়াই শতাংশ প্রণোদনাসহ মিলছে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা।
পাশাপাশি ১ ডলারের বিপরীতে ১০৬ টাকা পাচ্ছেন রপ্তানিকারকরা। গগ এপ্রিলে রেমিট্যান্সেরে ইউএস কারেন্সির দাম ছিল ১০৭ টাকা। রপ্তানি আয় ছিল ১০৫ টাকা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: