ঢাকা | শনিবার, ২ আগস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ [email protected] +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩

পি কে হালদারের বিষয়ে ভারত জানানো মাত্রই আইনি ব্যবস্থা

মো: মনিরুল ইসলাম | প্রকাশিত: ১৫ মে ২০২২ ২৩:২৪

মো: মনিরুল ইসলাম
প্রকাশিত: ১৫ মে ২০২২ ২৩:২৪

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক : কয়েক হাজার কোটি টাকা পাচার করার অভিযোগ নিয়ে বছর কয়েক ধরে পালিয়ে থাকা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারকে (পি কে হালদার) গ্রেফতারের বিষয়ে ভারত জানানো মাত্রই দেশে ফিরিয়ে আনতে আইনি ব্যবস্থা নেবে সরকার বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, পি কে হালদারের বিষয়ে ভারতে থেকে অফিশিয়ালি এখনও কোনো ডকুমেন্ট আসেনি।

রবিবার (১৫ মে) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: ইতিহাসের পুনর্নির্মাণ’ শীর্ষক সেমিনার তিনি কথা বলেন। সেমিনারটি আয়োজন করে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম।

পি কে হাওলাদার বাংলাদেশে ওয়ান্টেড ব্যক্তি উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাকে অনেকদিন ধরেই চাচ্ছি। তাকে গ্রেফতার করেছে ভারত। তবে আমাদের কাছে ভারত থেকে এখনও পি কে হালদারের গ্রেফতার বিষয়ে অফিশিয়ালি কিছু আসেনি। ভারত জানালে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো।

এর আগে, শনিবার (১৪ মে) উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোকনগর থেকে পি কে হালদারের সঙ্গে তার দুই ভাইসহ গ্রেফতার হয়েছেন আরো ৫ জন।

গ্রেফতার অন্য পাঁচজন হলেন- উত্তম মিত্র, স্বপন মিত্র, সঞ্জীব হালদার, প্রাণেশ হালদার (প্রীতিশ) ও তার স্ত্রী।

অর্থপাচারে অভিযুক্ত পি কে হালদারের সম্পদের খোঁজে পশ্চিমবঙ্গের এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট ১০টি অভিযান চালায়। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয় ভারতের উত্তর চব্বিশ পরগনার অশোকনগর থেকে।

শনিবার এক বিবৃতিতে ইডি জানিয়েছে, পি কে হালদার ভুয়া তথ্য-পরিচয় এবং রেশন কার্ডের মতো জাতীয় কার্ড ব্যবহার করে ভারতীয় নাগরিকত্ব নিয়েছিলেন শিবশংকর হালদার নামে। ভারতীয় পরিচয়ে পশ্চিমবঙ্গে বিপুল অর্থবিত্তের মালিক হন তিনি।

হুন্ডির মাধ্যমে ভারতে টাকা পাচারে পি কে হালদারকে সহযোগিতা করেছেন সুকুমার মৃধা। আর সম্পদ কেনায় সাহায্য করেছেন সুকুমারের মেয়ে অনিন্দিতা ও মেয়ের জামাই সঞ্জিব হাওলাদার। এ তথ্যের ভিত্তিতেই পশ্চিমবঙ্গজুড়ে তল্লাশি চালিয়েছে ইডি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: