05/09/2025 দেশের রিজার্ভ নামবে ২৩ বিলিয়ন ডলারে
মো: মনিরুল ইসলাম
১৯ জুন ২০২৩ ০০:৫৫
বিদেশবার্তা ডেস্ক : ইতোমধ্যে বাংলাদেশকে ৪.৭০ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। যার অন্যতম শর্ত দেশের নিট রিজার্ভ প্রকাশ করা। এক্ষেত্রে ব্যালেন্স অব পেমেন্ট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন (বিপিএম-৬) বা বিপিএম৬ ফর্মুলা অনুসরণ করতে হবে।
এটি মানতে গেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিট রিজার্ভ ২০ বিলিয়নের ঘরে নেমে যাবে। বিভিন্ন খাত ও রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলে (ইডিএফ) বিনিয়োগ এবং এক বছরের বৈদেশিক ঋণের কিস্তি পরিশোধের অর্থ বাদ দিলে দেশে প্রকৃত বিদেশি মুদ্রার সঞ্চায়ন এ অবস্থায় দাঁড়াবে।
বর্তমানে ইডিএফ ও বিভিন্ন খাতে ৬ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ রয়েছে। এগুলোসহ এখন দেশের মোট রিজার্ভ ২৯.৮৩ বিলিয়ন ডলার। সেই ৬ বিলিয়ন ডলার বাদ দিলে নিট রিজার্ভ দাঁড়াবে ২৩.৮৩ বিলিয়ন ডলারে।
রবিবার (১৮ জুন) ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ষান্মাসিক (জুলাই-ডিসেম্বর) মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। এসময় তিনি বলেন, আমরা ব্যালান্স অব পেমেন্ট ৬ বা বিপিএম৬-এর ফর্মুলায় যাবো। আইএমএফ সদস্যভুক্ত দেশগুলো বিপিএম৬ ফর্মুলা কার্যকর করেছে। ফলে আমরাও সেটা করবো। পাশাপাশি আমাদের নিজস্ব হিসাবও থাকবে।
আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, রিজার্ভ থেকে বিনিয়োগ করা অর্থ ঝুঁকিমুক্ত রয়েছে। কারণ আমাদের সব ঋণের গ্যারান্টার রয়েছে। সব টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক ফেরত পাবে। শ্রীলংকার লোনও আমরা ফেরত পেতে পারি। সেক্ষেত্রে তাদের স্থানীয় মুদ্রায় সমন্বয় করতে হবে।
এরই মধ্যে দেশের বর্তমান রিজার্ভ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বাস্তবে সঞ্চিত বিদেশি মুদ্রা কত, এ বিষয়ে সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। এর হিসাবায়ন পদ্ধতি নিয়েও সমালোচনা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত মোট রিজার্ভের হিসাব খোদ আইএমএফ প্রশ্ন তুলেছে। কারণ, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।