05/01/2025 প্রেমিকাকে হত্যায় প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
আল আমিন
১৬ নভেম্বর ২০২২ ০৪:৪৮
নিজস্ব প্রতিবেদক: মাদারীপুরের সদর উপজেলায় ফরিদা বেগম নামে এক নারীকে হত্যা মামলায় ১৪ বছর পরে প্রেমিক শহিদুল মোল্লাকে (৪২) মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার বিকেলে জেলার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক লায়লাতুল ফেরদৌস এ রায়ের আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত শহিদুল মোল্লা উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের ব্রাহ্মণদী এলাকার মোহাম্মদ মোল্লার ছেলে।
মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্র জানায়, মাদারীপুর সদর উপজেলার ব্রাহ্মণদী এলাকার মোহাম্মদ মোল্লার ছেলে শহিদুল মোল্লার সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো মহিষেরচর এলাকার আব্দুল করীম ক্কারীর মেয়ে ফরিদা বেগমের। ২০০৮ সালের ৬ মে সকালে ফরিদা বেগম শহিদুল মোল্লার সাথে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসে না। পরের দিন ৭ মে সকালে কালকিনি উপজেলার দক্ষিণ ধুয়াসার এলাকার কাদের কবিরাজের পেঁপে বাগান থেকে ফরিদার মৃতদেহ উদ্ধার করে কালকিনি থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই হান্নান ক্কারী একই দিনে বিকেলে শহিদুল মোল্লাকে ও অজ্ঞাতনামা আরো বেশ কয়েকজনকে আসামি করে কালকিনি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে এ ঘটনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন কালকিনি থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ঘটনার তদন্তের পর ২০০৯ সালের ২২ জুন আসামি শহিদুল মোল্লাকে একমাত্র অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
এরপর আদালত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে। পরে বিচারিক আদালতে দীর্ঘ ১৪ বছর যুক্তিতর্ক শেষে উপযুক্ত সাক্ষী-প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে শহিদুল মোল্লাকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
মাদারীপুর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. সিদ্দিকুর রহমান সিং বলেন, আসামি শহিদুল মোল্লা প্রতারণার মাধ্যমে ভিকটিমকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েও বিয়ে করেনি। পরে ভিকটিমকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে পেরেছি শহিদুল মোল্লা তার প্রেমিকাকে হত্যা করেছে। আদালত শহিদুল মোল্লাকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে। এ রায়ে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট।
বিদেশ বার্তা/ এএএ